বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu) তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এবং তাদের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের প্রাক্তন কর্মীরা রাজ্যের কলেজগুলোতে স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে দূষিত করছে।
তিনি বলেন, (Shuvendu)“এরা সবাই তৃণমূলের প্রাক্তন কর্মী। এখন তারা কলেজগুলোতে স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছে। তারা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে দূষিত করেছে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, অর্থ আদায়, ভর্তি নিয়ন্ত্রণ, কলেজ উৎসব, পরিকাঠামো, এমনকি কেন্দ্র থেকে প্রেরিত অর্থ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তারা জড়িত।”
তিনি এই গোষ্ঠীকে ‘ভাইপো গ্যাং’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করেন।অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, “রাজ্য পুলিশ মহরম উদযাপন করছে এবং মিছিলে অংশ নিচ্ছে। মহরম মিছিল এমনকি থানায় পৌঁছেছে। এই সরকার মুসলিম হয়ে গেছে।” এই মন্তব্য রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর প্রশ্ন তুলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তিনি একটি তালিকা প্রকাশ করে দাবি করেন, (Shuvendu)টিএমসিপি-র নেতারা বিভিন্ন কলেজে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা অশিক্ষক কর্মী, টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজে কর্মী, এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, (Shuvendu)“এমন আরও ৯৫০ জনের তালিকা দিতে পারি।”এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে শুভেন্দু দাবি করেন, তৃণমূলের এই ‘ভাইপো গ্যাং’ শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অপরাধ এবং অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। তিনি বলেন, “কলেজের ইউনিয়ন রুম গুলো নোংরামির জায়গায় পরিণত হয়েছে। অনেক প্রিন্সিপাল ভয়ে বা অযোগ্যতার কারণে তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না।”
তাঁর এই মন্তব্য (Shuvendu)সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে সাম্প্রতিক ধর্ষণ কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যেখানে টিএমসিপি-র সঙ্গে যুক্ত একজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তৃণমূলের একাংশ বলেছে , “শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি (Shuvendu)নিজে তৃণমূলের নেতা ছিলেন, এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন।” তিনি মহরম সংক্রান্ত মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্য পুলিশ শান্তি বজায় রাখতে কাজ করছে। এটাকে সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়া হাস্যকর।” শুভেন্দুর অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।”
এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu) সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০২৫-এর মার্চে তিনি মুসলিম তৃণমূল বিধায়কদের “বিধানসভার বাইরে ফেলে দেওয়ার” মন্তব্য করেছিলেন, যার জন্য বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়।
এই প্রস্তাবে বলা হয়, তাঁর মন্তব্য সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করেছে।সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu)শিক্ষাব্যবস্থার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক কথা বলেছেন।” অন্যদিকে, তৃণমূল সমর্থকরা বলছেন, “এটি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা।”
ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বাড়িয়ে চীনের মোকাবিলায় প্রস্তুত নৌবাহিনী
রাজনৈতিক (Shuvendu)বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে। শুভেন্দুর ‘ভাইপো গ্যাং’ মন্তব্য এবং তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া রাজ্যের শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।