সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক ছাত্রীর উপর কথিত গণধর্ষণের ঘটনায় বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দলের সদস্য এবং লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব (Biplab Deb) বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের রিপোর্ট দলের জাতীয় সভাপতির কাছে জমা দিয়েছি। আমরা এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ চাই।
আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করি না। তাই আমরা একটি স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। (Biplab Deb) এই তদন্ত বাংলার বাইরের কোনো বর্তমান বিচারপতির নেতৃত্বে হওয়া উচিত; অন্যথায়, তদন্তে প্রভাব পড়বে।” কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিপ্লব আজ এই মন্তব্য করেছেন। যা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গত ২৫ জুন, ২০২৫-এ কলকাতার কসবা (Biplab Deb) এলাকায় অবস্থিত সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্রী কথিতভাবে গণধর্ষণের শিকার হন। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সহ জাইব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং একজন নিরাপত্তারক্ষীসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে।
বিজেপির (Biplab Deb) জাতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডার নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের তথ্যানুসন্ধানী দল, যার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, রাজ্যসভার সাংসদ মনন কুমার মিশ্র এবং বিপ্লব কুমার দেব, গত ৩০ জুন কলকাতায় এসে তদন্ত শুরু করেন।
দলটি কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার বর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের চেষ্টা করে। তবে, বিপ্লব দেব অভিযোগ করেন, তাঁদের কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ বা মুখ্যসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিপ্লব দেব (Biplab Deb) আরও বলেন, “কলকাতা পুলিশ কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁদের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার মতো সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।” তবে, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত লজ্জিত হওয়া যে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদলকে এই ঘটনার তদন্তে আসতে হয়েছে।”
তৃণমূল কংগ্রেস (Biplab Deb) এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির তথাকথিত তথ্যানুসন্ধানী দল কেবল রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য এসেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপি নিজেদের শাসিত রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর দিক।” তৃণমূল নেতা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মনোজিৎ মিশ্র ২০২২ সাল থেকে দলের কোনো পদে নেই।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে (Biplab Deb) তিনটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয়েছে, যেখানে স্বাধীন তদন্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানানো হয়েছে। মামলাগুলো বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য গৃহীত হয়েছে, এবং বৃহস্পতিবার এর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, (Biplab Deb) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছাত্রীর অভিযোগকে সমর্থন করে। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা ১.৫ মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এবং অভিযুক্তরা পূর্বেও ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেছে।
মমতার সিক্রেট নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন সিং
এই ঘটনা রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। (Biplab Deb) বিজেপির দাবি, এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রমাণ। অন্যদিকে, তৃণমূল অভিযোগ করেছে, বিজেপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এবং তদন্তের জন্য কলেজের কয়েকটি অংশ সিল করা হয়েছে।