বিশ্বের অনেক বড় বড় সংঘাত বন্ধ করেছি, দাবি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) সম্প্রতি একটি উল্লেখযোগ্য দাবি করে বলেছেন যে, তাঁর প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বড় সংঘাত প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ…

Trump claims he stopped war

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) সম্প্রতি একটি উল্লেখযোগ্য দাবি করে বলেছেন যে, তাঁর প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বড় সংঘাত প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাম্পের মতে, এই সংঘাত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

তিনি বলেন, (Trump) “আমরা অনেক সংঘাত বন্ধ করেছি, তার মধ্যে একটি খুবই বড় ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আমরা এটি বাণিজ্যের মাধ্যমে বন্ধ করেছি। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছিলাম, যদি তোমরা যুদ্ধ কর, তবে আমরা তোমাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা করব না।

   

তারা (Trump) সম্ভবত পারমাণবিক পর্যায়ে ছিল… এটি বন্ধ করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প এই মন্ত্যব্য করেছেন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা এবং তার পরবর্তী বালাকোট বিমান হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল।

এই সময়ে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।ট্রাম্পের মন্তব্যে তিনি বাণিজ্যকে একটি চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, (Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, সংঘাত অব্যাহত থাকলে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে। এই কৌশল কাজ করেছে বলে ট্রাম্প দাবি করেছেন। তবে, তিনি কোন নির্দিষ্ট ঘটনা বা সময়কালের উল্লেখ করেননি, যা এই দাবির বিশদ বিশ্লেষণের জন্য প্রশ্ন তৈরি করেছে।ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বহু বছর ধরেই উত্তপ্ত।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর প্রায়শই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়ায় এই সংঘাতের বিশ্বব্যাপী প্রভাব রয়েছে। ট্রাম্পের মন্তব্য এই প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে, কারণ তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর প্রশাসনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ এই সংঘাত প্রতিরোধে সফল হয়েছে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, ভারত সবসময় বলে আসছে যে কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই এবং এটি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। অন্যদিকে, পাকিস্তান প্রায়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছে।

Advertisements

ট্রাম্পের (Trump) মন্তব্য এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর নতুন আলোকপাত করেছে।সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁর এই দাবিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে এটিকে অতিরঞ্জিত বলে মনে করছেন।

একজন ভারতীয় নেটিজেন এক্স-এ লিখেছেন, “ট্রাম্পের এই দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর কৃতিত্ব অনেকাংশেই দুই দেশের নিজস্ব কূটনৈতিক প্রচেষ্টার।” অন্যদিকে, পাকিস্তানের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ট্রাম্পের মন্তব্যে সত্যতা থাকতে পারে, কারণ মার্কিন চাপ অনেক সময় দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের (Trump) এই মন্তব্য তাঁর প্রশাসনের কূটনৈতিক অর্জনকে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত এড়ানোর ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়ে ঐতিহাসিক তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

Pharma Stocks: মার্কিন শুল্কে বড় ধাক্কা ফার্মা সেক্টরে, ৩% পর্যন্ত কমল শেয়ার

বর্তমানে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকলেও, কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান। ট্রাম্পের (Trump) এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ইস্যুতে আরও বিশদ তথ্য প্রকাশিত হলে এই দাবির সত্যতা আরও পরিষ্কার হবে। তবে, এটি স্পষ্ট যে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মার্কিন প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।