ভোটের রাজনীতি নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্যে এক নতুন বিতর্ক

বাংলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস-কে পরাস্ত করতে (Suvendu Adhikari) বিজেপির একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। রাজ্যে বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার…

bjp-leader-suvendu-adhikari-says-i-also-appealed-for-votes-but-wont-get-them

বাংলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস-কে পরাস্ত করতে (Suvendu Adhikari) বিজেপির একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। রাজ্যে বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এক নতুন কৌশলের সূচনা হয়েছে। রাজ্যের বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে আসার পর, শমীকের একাধিক বক্তব্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী ভোটকে একত্রিত করার চেষ্টা স্পষ্ট হয়েছে। এদিকে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তার নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, যদিও তিনি সরাসরি শমীকের নাম না নিয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন(Suvendu Adhikari) 

হিন্দু ভোট ও বিজেপির লক্ষ্য:

   

গত কয়েক মাসে শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার লক্ষ্যে বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি বারবার বলেছেন, ৫-৬ শতাংশ হিন্দু ভোট যদি বিজেপির পক্ষে চলে আসে, তাহলে রাজ্যে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। শুভেন্দু এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রাপ্ত ভোটের প্রায় ৯০% ছিল হিন্দুদের কাছ থেকে। তবে, গত সোমবার নন্দীগ্রামে কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় অংশ নিয়ে, তিনি শমীক ভট্টাচার্য-এর কথার জবাব দিয়েছেন, যদিও সরাসরি শমীককে তিনি উল্লেখ করেননি।(Suvendu Adhikari) 

নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জবাব:

নন্দীগ্রামে কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন,(Suvendu Adhikari) “হিন্দুরা আমাকে বিধায়ক করেছেন, না হলে জিততে পারতাম নাকি?” তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালের নির্বাচনে আমি ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোট পেয়েছিলাম, যার মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬০০ ভোট ছিল হিন্দুদের।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে শুভেন্দু তার দলের মধ্যে হিন্দু ভোটের গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন। নন্দীগ্রামের একটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৯০, যেখানে তিনি মাত্র ২টি ভোট পেয়েছিলেন।(Suvendu Adhikari) 

বিরোধী দলনেতার স্পষ্ট বক্তব্য:

শুভেন্দু আরও বলেন, “আমি কি অন্যদের ভোট চাই না? না, আমি চাই। তবে, আমি পাই না। এটা কঠিন বাস্তব।” অর্থাৎ, শুভেন্দু এখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সবার ভোট চান, তবে বাস্তবতার কারণে তিনি সেটা পান না। তৃণমূল বিরোধী ভোট একত্রিত করার প্রয়াসে শুভেন্দু বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলায় পালাবদল হবে। তার মতে, ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম যা দেখিয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলাও তাই দেখাবে।

শুভেন্দু তার সফল নির্বাচনী অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, দুটি ব্লকের ২১টি সমবায়ের মধ্যে ১৬টিতে তিনি জয়ী হয়েছেন এবং ২টি সমবায়ে তৃণমূল মনোনয়নই দেয়নি, ফলে ১৮টি সমবায়ে জয় পেয়েছেন বিজেপি।(Suvendu Adhikari) 

Advertisements

শমীকের বক্তব্য ও শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া:

রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সম্প্রতি বলেছেন, “নো ভোট টু বিজেপি” স্লোগান দিয়ে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মুখোশের আড়ালে নয়, মুখোমুখি লড়াই করুন।” তিনি আরও বলেছেন, যারা এই স্লোগান দিয়েছেন, তাদের বলছি, “ভোট কেটে চতুর্থবারের জন্য তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনবেন না।”(Suvendu Adhikari) 

এখানে শুভেন্দু তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “আমি যা বলি, ভেবে বলি। আর যা বলি, তা করি।” তার এই বক্তব্যে তিনি আবারও বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি (Suvendu Adhikari) সবার ভোট চান, তবে বাস্তবে সেই ভোট পাওয়া সহজ নয়।

রাজনৈতিক কৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

বিজেপি রাজ্যে হিন্দু ভোট একত্রিত করার চেষ্টা করছে, আর এর জন্য শমীক ভট্টাচার্য চেষ্টা করছেন বিজেপির বিরোধী ভোটকে একত্রিত করার মাধ্যমে নতুন কৌশল তৈরি করতে। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী এই কাজের বাস্তবতা বুঝে তার মতামত দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।(Suvendu Adhikari) 

তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র হিন্দু ভোট নয়, বরং বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত করেই রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতায় আসা সম্ভব। শুভেন্দু রাজ্যে বিজেপির অগ্রগতি এবং আগামী নির্বাচনে পালাবদলের আশাবাদী।(Suvendu Adhikari) 

রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-এর মন্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে যে, রাজ্যের ভবিষ্যত রাজনৈতিক চিত্র নতুন কিছু কৌশল, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চলেছে। বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত করা এবং হিন্দু ভোটের শক্তি ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, এর ফলাফল কী হবে তা আগামী নির্বাচনে স্পষ্ট হবে।