Earth: স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ঘুরছে পৃথিবী, কমছে দিনের দৈর্ঘ্য

গোটা মহাবিশ্বে পৃথিবীর (Earth ) মতো অনন্য গ্রহ আর নেই। নিজের অক্ষের ঘোরার ফলে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় দিন ও রাতের। সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দ্বারা করা একটি…

The Earth is spinning faster than normal

গোটা মহাবিশ্বে পৃথিবীর (Earth ) মতো অনন্য গ্রহ আর নেই। নিজের অক্ষের ঘোরার ফলে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় দিন ও রাতের। সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দ্বারা করা একটি গবেষণা সবার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, পৃথিবী এখন তার স্বাভাবিকের তুলনায় আরও দ্রুত ঘুরছে, যার ফলে দিনের দৈর্ঘ্য কয়েক মিলিসেকেন্ড করে ছোট হয়ে যাচ্ছে। যদিও এই পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো নয়, তবে এটি সময় নির্ধারণ ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

সাধারণত, পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। যার কারণে পারমাণবিক ঘড়ির সাহায্যে ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয় সময় নির্ভুল রাখতে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীর গতি ক্রমশ বাড়ছে। তাদের অনুমান, ২০২৯ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি লিপ সেকেন্ড বাদ দিতে হতে পারে। এর অর্থ, সময় পৃথিবীর সূক্ষ্ম গতিশীলতা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।অর্থাৎ সময়ের হিসাব পৃথিবীর সূক্ষ্ম গতি পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

   

পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘোরে। একেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় আমরা দিন বলে থাকি। তবে সময়ের এই দৈর্ঘ্য কোনওভাবেই স্থায়ী নয়। পৃথিবীর ঘূর্ণন বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন, চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় টান এবং অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার ফলে সময়ের হিসাবেও পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস, ভবিষ্যতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে বাড়তে ২৫ ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারে, তবে তা হতে প্রায় ২০ কোটি বছর লাগবে।

Advertisements

২০২০ সাল থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি বাড়ার প্রবণতা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক Earth Rotation and Reference Systems Service (IERS) অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের ফলে প্রতিদিনই সময়ের দৈর্ঘ্য কিছু মিলিসেকেন্ড কমে যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ২০২৯ সালে সময়ের UTC থেকে একটি লিপ সেকেন্ড বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

জানা যাচ্ছে, দিনের এই ছোট হওয়ার প্রবণতা কমপক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞানীরা তিনটি নির্দিষ্ট তারিখও গণনা করেছেন যখন পৃথিবীর ঘূর্ণন দ্রুত হবে। ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ আগস্ট ২০২৫। USA Today এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, একটি দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৫১ মিলিসেকেন্ড কম হতে পারে। মানুষ এই পরিবর্তনটি উপলব্ধি করতে নাও পারে, তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময় নির্ধারণ ব্যবস্থা সঠিক হওয়া প্রয়োজন।