তামান্না খাতুনের বাড়িতে জাতীয় মহিলা কমিশন৷ সোমবার নদিয়ার কালীগঞ্জে তামান্নার বাড়িতে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ৷ সেখানে তিনি তামান্নার মাকে পাশে নিয়ে বলেন, ‘২৩ জুনের ঘটনা। অথচ এখনও পরিবার সঠিক বিচার পেলেন না। যিনি ভোটে জিতলেন, তিনি একবারও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন না।’
গত ১৯ জুন নদীয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হয় ২৩ জুলাই। তারপরেই এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় মাত্র নয় বছর বয়সী তমান্না খাতুনের। এই নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা৷ কাঠগড়ায় তোলা হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷
এই মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখ সহ ১০ জনকে। তবে ২৩ তারিখ থেকে ৭ জুলাই পেরোতে চলল, বাকি ১৪ জনকে এখনও অধরা। এই ঘটনা পুলিশের ব্যর্থতা বলেই দাবি তমান্নার পরিবারের। এ দিন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপির সঙ্গে দেখা করতে এসপি অফিসে গিয়েছিলেন অর্চনা মজুমদার। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মাকওয়ানা মিতকুমার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার শিল্পী পাল। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে বাকি ১৪ জনকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
এ দিন বেশ কিছুক্ষণ তমান্নার মা সাবিনা বিবির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। ২৩ জুন ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছিল সেগুলি মহিলা কমিশনের সদস্যদের তা জানান তমান্নার মা।