এবার খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্মভূমি কাঁথিতে চোখে পড়ল মহরমের (Muharram) তলোয়ার মিছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর জন্মভূমি কাঁথিতে মহরমের তলোয়ার মিছিলের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনাকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ‘বিপজ্জনক তোষণ রাজনীতি’র ফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শুভেন্দু তার এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেছেন যে, ধর্মীয় আচারের আড়ালে তৃণমূলের ‘জেহাদি গুন্ডারা’ তলোয়ার (Muharram) নিয়ে মিছিল করেছে এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। এই ঘটনা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতিফলন বলে তিনি মনে করেন।
রবিবার কাঁথিতে মহরম উপলক্ষে একটি মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। শুভেন্দু অধিকারী (Muharram) তাঁর এক্স পোস্টে এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে এটিকে ‘চমকে দেওয়া’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেন, এই মিছিল শুধু গুন্ডামি নয়, বরং তৃণমূলের তোষণ নীতির ফল, যা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে আইনশৃঙ্খলাহীনতা ও ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে রোধ করা যায়। শুভেন্দু অধিকারী (Muharram) তাঁর পোস্টে তৃণমূলের উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি কেবল গুন্ডামি নয়, এটি তৃণমূলের বিপজ্জনক তোষণ রাজনীতির সরাসরি ফল।” তিনি অভিযোগ করেন যে, তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে ধর্মীয় আচারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে, যা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের ঘটনা ধর্মীয় আচারের নামে সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে বাংলা এই ধরনের সন্ত্রাসের শিকার হতে থাকবে।(Muharram) শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও তৃণমূলের তোষণ নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন। তিনি দাবি করেন যে, তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে উৎসব পালনের প্রচার করছে। এই ঘটনা তাঁর এই অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বিজেপি নেতারা এই মিছিলকে তৃণমূলের ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি’র প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা দাবি করছেন যে, তৃণমূল সরকারের তোষণ নীতির কারণে রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবগুলি বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, এবং এই ধরনের মিছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অরাজকতাকে উৎসাহিত করছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, (Muharram) এই ঘটনা স্থানীয় স্তরে বিশৃঙ্খলার ফল এবং এর সঙ্গে সরকারের নীতির কোনও সম্পর্ক নেই।তৃণমূলের মুখপাত্ররা শুভেন্দুর অভিযোগের জবাবে বলেছেন যে, বিজেপি এই ধরনের ঘটনাকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
তারা দাবি করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব সম্প্রদায়ের জন্য সমানভাবে কাজ করে এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা (Muharram) বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাঁথির স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকে মনে করছেন যে, ধর্মীয় মিছিলের নামে এই ধরনের আচরণ সামাজিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাঁথি সবসময় শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল, কিন্তু এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
শুভেন্দু অধিকারী প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, পুলিশ এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি, যা তৃণমূলের পক্ষপাতমূলক নীতির প্রমাণ। তিনি বলেন, “প্রশাসনকে অবিলম্বে এই হুমকি রোধ করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, কিন্তু কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি নেতারা এই ঘটনাকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তারা দাবি করছেন যে, তৃণমূলের তোষণ নীতি রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকারের উপর আঘাত হানছে। অন্যদিকে, তৃণমূল এই অভিযোগকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অংশ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের UPI এবার ক্যারিবিয়ানে, Trinidad ও Tobago নতুন সদস্য
কাঁথিতে মহরমের(Muharram) তলোয়ার মিছিল নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র প্রতিক্রিয়া রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই ঘটনা তৃণমূলের তোষণ রাজনীতি এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ধর্মীয় মিছিলের নামে এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রশাসনের দ্রুত ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা রোধ করা না গেলে, পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।