Fluminense Stuns: আল হিলালকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিতে ফ্লুমিনেন্স

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ফ্লুমিনেন্স ফুটবল ক্লাব। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়াল্ড স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল থিয়াগো সিলভার এই ফুটবল দল।…

Fluminense Stuns Al Hilal to Secure Club World Cup Semifinal Spot

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ফ্লুমিনেন্স ফুটবল ক্লাব। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়াল্ড স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল থিয়াগো সিলভার এই ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল সৌদি লিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আল হিলাল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে তাঁদের পরাজিত করল লাতিন আমেরিকার ফুটবল দল। এদিন ফ্লুমিনেন্সের (Fluminense) হয়ে গোল করেন যথাক্রমে মাতেউস মার্তিনেল্লি এবং হারকিউলিস। অন্যদিকে, আল হিলালের জার্সিতে গোল করে আশার আলো দেখিয়েছিলেন মার্কোস লিওনার্দো।

তবে কাজের কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে ব্রাজিলের এই ফুটবল ক্লাব। প্রায় গত আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত রয়েছে ‌ফ্লুমিনেন্স। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে সকল ফুটবলারদের। সেজন্য, অনায়াসেই একের পর এক শক্তিশালী দলগুলিকে প্রতি সহজেই টেক্কা যেটা সক্ষম হয়ে উঠছে ল্যাটিন আমেরিকার এই দল। কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে ছিল না আল হিলাল। বিশেষ করে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই সকলের নজর ছিল এ ফুটবল ক্লাবের দিকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও তাঁরা আটকে দিয়েছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে।

   

যেটা সাফল্যের থেকে কম কিছু নয়। তারপর চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড শুরু হতেই আরও যেন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল আল হিলাল। শেষ ষোলোর ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও তাঁরা পরাজিত করেছিল পেপ গার্দিওলার শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে। এমন পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছিল সকলকেই। স্বাভাবিকভাবেই সকলে আশা করেছিল যে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে অনায়াসেই হয়তো সেমিফাইনালে স্থান করে নেবে, এই ফুটবল দল। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। ছিটকে যেতে হল টুর্নামেন্ট থেকে। উল্লেখ্য, এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট সাবধানী থাকতে দেখা গিয়েছিল ফ্লুমিনেন্সের ডিফেন্ডারদের।

Advertisements

তবে গোল তুলে নিতে খুব একটা ভুল হয়নি। প্রথমার্ধের তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকে গ্যাব্রিয়েল ফুয়েন্তসের বাড়ানো পাস থেকে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন মার্তিনেল্লি। সেখান থেকেই আসে প্রথম গোল। এরপর বেশ কয়েকবার সমতা ফেরানোর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল আল হিলাল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে এগিয়েছিল ব্রাজিলের এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটের মাথায় দলকে সমতায় ফিরিয়ে ছিলেন মার্কোস। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেই ফলাফল। ৭০ মিনিটের মাথায় পুনরায় আক্রমণে উঠে হারকিউলিসের শট চলে যায় গোলের মধ্যে।

সেই গোলের পরেও বেশ কয়েকবার সমতা ফেরানোর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল প্রতিপক্ষ দল। কিন্তু ফ্লুমিনেন্সের জমাট বাঁধানো ডিফেন্স ভেঙে পুনরায় গোলের মুখ খোলা আর সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানেই আসে জয়।