মহরমের চাঁদা আদায় নিয়ে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বীরভূম

বঙ্গে আবারও সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের অবনতি। এবার এই ধরণের ঘটনা দেখা গেল বীরভূমে (Birbhum)। বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায় মহরম উৎসবের জন্য চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে হিন্দু ও…

Birbhum communal dispute

বঙ্গে আবারও সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের অবনতি। এবার এই ধরণের ঘটনা দেখা গেল বীরভূমে (Birbhum)। বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায় মহরম উৎসবের জন্য চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহরমের অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক হিন্দু যুবকের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় (Birbhum) হিন্দু সম্প্রদায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, যার ফলে এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত।ঘটনার বিবরণস্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহরম উৎসবের জন্য চাঁদা আদায়ের সময় একদল মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে জোর করে চাঁদা আদায় করছিল।

   

এক (Birbhum) হিন্দু যুবক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় ওই যুবক গুরুতরভাবে আহত হন এবং তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাঁইথিয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়।

বিক্ষোভকারীরা (Birbhum) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে একাধিক ঘটনার অভিযোগসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, বীরভূম ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মহরমের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে একাধিক সংঘর্ষের ঘষ্টনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে কিছু মুসলিম যুবক হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে।

এই ধরনের ঘটনার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাঘটনার খবর পেয়ে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বীরভূম জেলা (Birbhum) পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আশঙ্কাএই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisements

ইতিপূর্বে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক (Birbhum) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, কিছু গোষ্ঠী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেরুকরণের চেষ্টা করতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিস্থানীয় বাসিন্দারা এবং রাজনৈতিক নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিছু রাজনৈতিক দল অভিযোগ করেছে যে, স্থানীয় প্রশাসন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এই ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এদিকে, রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং সম্প্রদায়গুলির মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৮ম বেতন কমিশনে স্তরভিত্তিক বেতনে বিপুল বৃদ্ধি, জানুন বিস্তারিত

বীরভূমের সাঁইথিয়ার (Birbhum) এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। চাঁদা আদায়ের মতো বিষয়গুলি স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও, এটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। সব পক্ষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে, এবং পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঠিক তথ্য প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।