আইজলের ঘর ভেঙে এবার এই ফুটবলারকে দলে টানল নর্থইস্ট

ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে গত সিজন শুরু করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে একটা সময় পিছিয়ে…

NorthEast United FC Signs Lalbiakdika Bawnlalbhunga from Aizawl FC

ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে গত সিজন শুরু করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে একটা সময় পিছিয়ে থাকতে হলেও পরবর্তীতে ঠিক সমতায় ফিরেছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করেছিল নর্থইস্ট। যারফলে প্রথম ট্রফি এসেছিল ঘরে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিল সমর্থকরা। পরবর্তীতে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে ও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিল বেনালির ছেলেরা। সেক্ষেত্রে প্রথমেই তাঁরা পরাজিত করেছিল কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে।

সেটা নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুক্ত করেছিল দলের ফুটবলারদের মধ্যে।সময়ের সাথে ও বজায় ছিল সেই ছন্দ। যারফলে টুর্নামেন্টের প্রথম ছয়ের মধ্যে স্থান করে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তাঁদের পক্ষে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে আটকে যেতে হলেও সেখান থেকে অনায়াসেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সম্ভব হয়নি। একবারের শিল্ড জয়ী দল জামশেদপুর এফসির কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। তবুও সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট তথা কলিঙ্গ সুপার কাপে জয় দিয়ে শুরু করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড।

   

যারফলে আবার নতুন করে খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু ফের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জামশেদপুর এফসি‌। আইএসএলের পরাজয়ের বদলা নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ডুরান্ড কাপ জয় করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বেনালির ছেলেদের। তবে বেশ কিছু মাস আগে থেকেই নতুন মরসুমের জন্য খেলোয়াড় চূড়ান্ত করতে শুরু করে দিয়েছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। নতুন ফুটবলার চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বেশকিছু তারকার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। সপ্তাহ কয়েক আগে সেই নিয়েই উঠে আসতে শুরু করেছিল নয়া তথ্য। কিন্তু এসবের মাঝেই আইজল এফসির ঘর ভেঙে আরও এক ফুটবলারকে দলে টানল নর্থইস্ট।

Advertisements

তিনি লালবিয়াকডিকা ভানলালভুঙ্গা। শেষ দুইটি মরসুমে দলের হয়ে মোট ৮টি গোল করেছিলেন মিজোরামের এই ফরোয়ার্ড। সেইসাথে ছিল মোট ৯টি অ্যাসিস্ট। বলাবাহুল্য, শেষ আইলিগে লালরিনজুয়ালা লালবিয়াকনিয়ার সাথে জুটি বেঁধে অনবদ্য ফুটবল খেলেছিলেন বছর পঁচিশের এই ফুটবলার। নয়া মরসুমে তাঁদের সামনে রেখেই সাফল্য পেতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট।