ফের কট্টরপন্থীদের আক্রমণে গৃহবন্দি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু অধ্যাপক

চট্টগ্রাম (Chittagong) বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কুশল বরণ চক্রবর্তীকে টার্গেট করে বিক্ষোভ…

Chittagong professor attacked

চট্টগ্রাম (Chittagong) বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কুশল বরণ চক্রবর্তীকে টার্গেট করে বিক্ষোভ ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তার জীবন বিপন্ন।

এই ঘটনায় কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। যার ফলে পরিস্থিতি আর ও উত্তেজনা পূর্ণ হয়ে উঠেছে। (Chittagong) সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা তথ্য অনুযায়ী, কুশল বরণ চক্রবর্তীকে ইসলামিস্ট গোষ্ঠীগুলি, বিশেষ করে হিজবুত তাহরীর এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আক্রমণ করেছে।

   

অভিযোগ রয়েছে, (Chittagong) তারা তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে হুমকি দিয়েছে এবং তার প্রোমোশন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এমনকি, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা যায়। কুশল বরণ চক্রবর্তী শুধু একজন অধ্যাপকই নন, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী নেতাও।

সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি ভারতপন্থী এবং আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও, তিনি পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। একটি পোস্টে বলা হয়েছে, তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন।

এই অভিযোগগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chittagong) ছাত্রদের মধ্যে বিক্ষোভের কারণ হয়েছে বলে জানা গেছে।এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর, ২০২৪-এ শাহবাগ এলাকায় কুশল বরণ চক্রবর্তীর উপর কট্টরপন্থীদের হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চট্টগ্রাম (Chittagong)বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘটায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই ঘটনাকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ক্রমবর্ধমান হামলার অংশ হিসেবে দেখছেন। স্বাভাবিক ভাবেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অভাব এবং ধর্মীয় উত্তেজনার প্রতিফলন।

Advertisements

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও সম্প্রতি ঘটেছে, যা এলাকার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়েছে। তবে, কুশল বরণ চক্রবর্তীর ঘটনায় পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, (Chittagong)এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। কুশল বরণের মতো একজন শিক্ষাবিদের উপর হামলা শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার উপরও প্রশ্ন তুলেছে। এক্স-এর পোস্টে বলা হয়েছে, তিনি বর্তমানে ক্যাম্পাসে ‘বন্দী’ অবস্থায় রয়েছেন, এবং তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

এই ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাছেও এই ঘটনার তদন্ত ও নিরাপত্তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে ‘হিন্দু নিপীড়নের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এই ৭টি অস্ত্র শত্রুর মাটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে, কোন অস্ত্রের জন্য ভারত ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করছে?

বাংলাদেশের (Chittagong) রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এই ঘটনার পর আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়, তা পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা বাংলাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতা ও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তার প্রতি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।