Purba Medinipur: পুরসভায় তৃণমূল চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশের। পাশাপাশি, অনাস্থা নিয়ে কাউন্সিলরদের কড়া বার্তাও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান পুষ্পেন্দু দে-র বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন ওই দলেরই ১৪ জন সদস্য। এর ফলে শাসক দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তির পরিবেশ।
জানা গিয়েছে, বিডিওর কাছে অনাস্থার আবেদন জমা দিয়েছেন পিংলা ব্লকের ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। এই ঘটনায় হতবাক জেলা নেতৃত্ব। এখন প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানকে সরানোর মতো পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি হল? অনাস্থার আবেদন জমা করতে আসা সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান সব সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছেন। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় করা হচ্ছে না কোনো বৈঠক। পাশাপাশি, মানাও হচ্ছে না কোনো সরকারি নির্দেশও। কোথায় কোন কাজ হবে, কীভাবে হবে, তা নাকি ঠিক করছেন নিজের ইচ্চেমতোই। অভিযোগ উঠেছে সরকারি গাছ কাটারও।
জানা যাচ্ছে, বারবার বলা হলেও পঞ্চায়েত প্রধান শুনছেন না কারো কথাই। সেকারণেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে গ্রহণ করা হয়েছে এই পদক্ষেপ। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, কিছু সদস্য তাঁকে টার্গেট করছেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণেই ষড়যন্ত্র করে অনাস্থা আনার চেষ্টা চলছে। কয়েকজন সদস্যকে জোর করে সই করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পিংলার বিডিও লাকপা ওয়াংচু শেরপাও। তাঁর স্পষ্ট কথা, এখনই অনাস্থা আনার নিয়ম নেই। পদের মেয়াদ আড়াই বছর না হলে অনাস্থা আনাই যায় না।
এই আবহে স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতির পরামর্শ, দলীয় বিষয় বাইরে না আনাই উচিত, আলোচনায় মিটিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত মানেই দুর্নীতির আখড়া। নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়েই এখন মারামারি।