কংগ্রেস নেতা পবন খেরা (Pawan Khera) সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফর কে কেন্দ্র করে বিবৃতি দিয়েছেন। যা ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। খেরা বলেছেন, “এই প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এমন দেশের তালিকা তৈরি করতে, যেখানে অতীতে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সফর করেননি বা যেগুলি বাদ পড়ে গিয়েছিল। গত ১১ বছর ধরে তিনি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করছেন।
এখন, (Pawan Khera) যখনই তিনি এমন কোনো দেশে যান, তখনই তাকে ‘মাস্টার স্ট্রোক’ বলে প্রচার করা হয়, বলা হয় ‘গত ৫০ বছরে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি সেখানে গিয়েছেন’। তবে, যে পুরস্কারগুলি কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পান, তা ভারতের জন্য পুরস্কার। এই পুরস্কারগুলি পূর্ববর্তী সরকারগুলির আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হয়।” এই মন্তব্য ভারতের রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
পবন খেরার (Pawan Khera) এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ সফর এবং তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কারগুলির তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেছেন যে, মোদীর বিদেশ সফরগুলি প্রায়শই এমন দেশে করা হয়, যেখানে অতীতে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যাননি, যাতে তাঁর সফরকে ঐতিহাসিক হিসেবে প্রচার করা যায়।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিজেপি সরকারের প্রচার কৌশলের সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে, তিনি জোর দিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর পাওয়া পুরস্কারগুলি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং ভারতের পূর্ববর্তী সরকারগুলির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এই মন্তব্য বিজেপির নেতৃত্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি মোদীর বিদেশ নীতি এবং তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির গৌরবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী গত ১১ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সফর করেছেন। তাঁর এই সফরগুলি প্রায়শই ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রচার করা হয়। ঘানায় তিনি যে পুরস্কার পেয়েছেন, তা তাঁর নেতৃত্ব এবং ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানের জন্য একটি স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, খেরার মন্তব্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, এই সফর এবং পুরস্কারগুলি রাজনৈতিক প্রচারের অংশ হতে পারে।
তিনি (Pawan Khera) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এমন দেশ বেছে নিয়েছেন, যেখানে পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীরা যাননি। এটি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যাতে প্রতিটি সফরকে ঐতিহাসিক বলে প্রচার করা যায়।”খেরার মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, “পবন খেরার এই বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর কৃতিত্বকে ছোট করার একটি হীন প্রচেষ্টা।
মোদীজির(Pawan Khera) বিদেশ সফর ভারতের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাড়িয়েছে। তাঁর পাওয়া পুরস্কারগুলি ভারতের গৌরব।” তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস সবসময়ই ভারতের অর্জনকে হেয় করার চেষ্টা করে।অন্যদিকে, কংগ্রেসের সমর্থকরা খেরার মন্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন, এই বিদেশ সফর বিজেপির প্রচার কৌশল। শুধু মাত্র নিজের মাহাত্ম প্রতিষ্ঠার জন্য মোদীর এই বিদেশ সফরের সিদ্ধান্ত।
কংগ্রেসের এক মুখপাত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর এবং পুরস্কারগুলি ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল। এটি কেবল একটি দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়।” তাঁরা আরও বলেন, বিজেপি প্রায়শই এই সফরগুলিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খেরার এই মন্তব্য ভারতের বিদেশ নীতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রকৃত তাৎপর্য নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সূচনা করেছে।
একদিকে, (Pawan Khera)বিজেপি মোদীর বিদেশ সফরকে ভারতের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি এটিকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে দেখছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বিতর্ক আগামী দিনে ভারতের রাজনীতিতে আরও তীব্র হতে পারে, বিশেষ করে ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে।
মোদীর বিদেশ সফরগুলি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ঘানায় তাঁর পাওয়া পুরস্কার ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক প্রভাবের একটি স্বীকৃতি। তবে, খেরার মন্তব্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, এই পুরস্কারগুলি কেবল বর্তমান সরকারের নয়, বরং পূর্ববর্তী সরকারগুলির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।
তিনি বলেন, “এই পুরস্কারগুলি ভারতের জন্য, কোনো ব্যক্তির জন্য নয়।” এই মন্তব্য বিজেপির প্রচার কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং ভারতের বিদেশ নীতির কৃতিত্ব নিয়ে একটি নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে।এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে এই বিতর্ক আগামী দিনে আরও তীব্র হতে পারে।
মার্কুয়েজের পদত্যাগে সঞ্জয় সেন নন! ভারতীয় দলের কোচের দৌড়ে সম্ভাব্য এই পাঁচ
পবন খেরার (Pawan Khera) মন্তব্য শুধুমাত্র মোদীর বিদেশ সফর নিয়েই প্রশ্ন তুলছে না, বরং ভারতের কূটনৈতিক অর্জনের কৃতিত্ব কার—এই প্রশ্নও সামনে এনেছে। এই বিতর্ক ভারতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং নির্বাচনী কৌশলের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।