বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ, পুলিশকে নোটিস দিল হাইকোর্ট

২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (SSC) দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট চলতি বছর গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তে প্রায় ২৬…

Jobless Teachers Served Police Notices Can Move Calcutta High Court for Cancellation

২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (SSC) দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট চলতি বছর গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারান। এঁদের মধ্যে একাংশকে আদালত ‘টেন্টেড’ বা অযোগ্য বললেও, বহু প্রাক্তন শিক্ষক(SSC) দাবি করেন, তাঁরা সম্পূর্ণভাবে যোগ্য হয়েও চাকরি হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ‘যোগ্য’ দাবি করে তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। সেই আন্দোলনেরই অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে বিকাশ ভবন চত্বর, যেখানে দিনের পর দিন বসে ধর্না ও বিক্ষোভ চালিয়ে যান চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা(SSC) 

বিকাশ ভবনে ধর্না, উত্তেজনা, এবং পুলিশের নোটি(SSC) 

বিক্ষোভ চলাকালীন বিকাশ ভবনের সামনে একাধিকবার উত্তেজনার পরিস্থিতি (SSC) তৈরি হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হলেও, কখনও কখনও ধস্তাধস্তি, স্লোগান, এবং পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা ঘিরে ঘটনা জটিল হয়ে ওঠে। এর প্রেক্ষিতে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ একাধিক চাকরিচ্যুত শিক্ষককে তলব করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানো হয়(SSC) 

   

চাকরি হারানো দুই আন্দোলনকারী শিক্ষক এই নোটিস নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, হাইকোর্ট আগেই পুলিশকে ‘গো স্লো’ পদ্ধতিতে তদন্ত চালাতে নির্দেশ দিয়েছিল, এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছিল, যেন আন্দোলনকারীদের কোনও হেনস্থা না করা হয়। কিন্তু, সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই একের পর এক পুলিশি নোটিস পাঠানো হচ্ছে, যা তাঁদের মতে আদালত অবমাননার শামিল(SSC) 

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ(SSC) 

এই মামলাটি শুক্রবার (৫ জুলাই) বিচারপতি(SSC) তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওঠে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন,

“যে বা যারা পুলিশের নোটিস পেয়েছেন, তাঁরা চাইলে তা খারিজ করার জন্য পৃথকভাবে অথবা একসঙ্গে আবেদন করতে পারেন।”(SSC) তিনি আরও জানান, এই আবেদন আইনজীবীর মারফত করতে হবে এবং পুলিশের পাঠানো নোটিসের বৈধতা নিয়ে আদালত পরবর্তীতে বিবেচনা করে দেখবে(SSC) 

এদিকে, মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ যে মূল এফআইআর দায়ের করেছে, সেটি অবিলম্বে খারিজ করা হোক। কারণ, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আন্দোলনকারীদের দমন করতেই এই মামলা করা হয়েছে বলে তাঁদের আশঙ্কা(SSC) 

Advertisements

আদালতের দ্বিধাবিভক্ত বার্ত(SSC) 

তবে আদালত সরাসরি এফআইআর খারিজ করেনি। (SSC) জানান, পুলিশের পাঠানো নোটিসের বৈধতা নিয়ে প্রাথমিক শুনানির পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অর্থাৎ, আদালত একদিকে আন্দোলনকারীদের আবেদন জানাতে অনুমতি দিলেও, একইসঙ্গে মামলার প্রাথমিক তদন্তকেও সম্পূর্ণ অস্বীকার করেনি(SSC) 

আন্দোলনের পটভূম(SSC) 

২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই (SSC) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। আদালতের নির্দেশে যাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির প্রমাণ ছিল, তাঁরা চিহ্নিত হন। কিন্তু যাঁদের নাম ওই তালিকায় নেই, তাঁরাও চাকরি হারান। তাঁদেরই একাংশ গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন(SSC) 

বিকাশ ভবনের সামনে এই আন্দোলন বারবার রাজ্য সরকারের নজর কাড়ে। অনেক সময়েই প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস মিলেছে পুনর্বিন্যাসের। তবে, এখনো পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং, আন্দোলনের পরিণতিতে পুলিশি হস্তক্ষেপ ও আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন বহু প্রাক্তন শিক্ষক(SSC) 

ভবিষ্যতের প(SSC) 

এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আদালত পুলিশের পাঠানো নোটিসগুলিকে কীভাবে বিবেচনা করে এবং মামলার প্রেক্ষাপটে কী সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, চাকরি হারানো ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের পুনঃনিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেও সকলের দৃষ্টি রয়েছে।