সাত সকালে কলকাতার লালবাজারে দেখা মিলল টেলি ও চলচ্চিত্র জগতের (jeetu kamal) পরিচিত মুখ জিতু কামাল–এর। প্রথমে অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন, কিছু একটা হয়েছে নিশ্চয়ই! কোনও আইনি জটিলতায় পড়েছেন নাকি অভিনেতা? কারণ, তিনি সরাসরি পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশ কমিশনারের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় জল্পনা—জিতু কি কোনও বিপদে পড়েছেন(jeetu kamal)
তবে পরে জানা গেল, পুরো বিষয়টা আসলে(jeetu kamal) সম্পূর্ণ অন্যরকম। বাস্তবে কোনও বিপদে পড়েননি জিতু, বরং তিনি গিয়েছিলেন এক বিশেষ সাক্ষাৎ ও সম্মানজনক উপলক্ষে। তাঁর উপস্থিতির আসল কারণ ছিল একটি গোয়েন্দা চরিত্রভিত্তিক বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠান, আর সেই উপলক্ষে তিনি লালবাজারে হাজির হয়েছিলেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে(jeetu kamal)
পর্দার গোয়েন্দা, বাস্তবে বই উপহা(jeetu kamal)
জিতু কামাল বাস্তব জীবনে গোয়েন্দা না হলেও, এক বছর আগে তিনি (jeetu kamal) অভিনয় করেছিলেন এক গোয়েন্দা-ভিত্তিক সিনেমায়—‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। সেই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল অরণ্য চট্টোপাধ্যায়। তবে অরণ্য কেবল একজন গোয়েন্দা নন, তিনি একজন ডাক্তারও—একজন এমন ডাক্তার যিনি গোয়েন্দাগিরিতে পারদর্শী। একদিকে চিকিৎসা বিদ্যার জ্ঞান, অন্যদিকে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশক্তি—এই দুইয়ের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে অরণ্য চরিত্রটি(jeetu kamal)
শুক্রবার, ৪ জুলাই, লালবাজারে পুলিশের গোয়েন্দা দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছবির (jeetu kamal) কাহিনি অবলম্বনে প্রকাশ পেল ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’ বইটি। আর সেই বই পুলিশ কমিশনারের হাতে তুলে দেন স্বয়ং অভিনেতা জিতু কামাল(jeetu kamal)
পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষা(jeetu kamal)
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের দপ্তরে গিয়ে জিতু যে শুধু বই তুলে দিয়েছেন, তা নয়। তিনি পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন এবং চরিত্র আরও বাস্তবধর্মী করে তোলার জন্য তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন টিপস নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা দফতরের কাজের ধরন, তাদের ভাষা, দৃষ্টিভঙ্গি—এসব কিছু চরিত্রে বাস্তবতা আনতে জিতুর আগ্রহ চোখে পড়ার মতো(jeetu kamal)
এই বিষয়ে জিতু বলেন,
“অরণ্য চরিত্রটা আমার খুব কাছের। আমি চাই পর্দার গোয়েন্দা চরিত্রগুলো বাস্তবের কাছাকাছি হোক। সেইজন্যই আমি লালবাজারে এসেছি—অনুভব করতে এবং জানতে।(jeetu kamal)
‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’: সিনেমা থেকে ব(jeetu kamal)
বাংলা চলচ্চিত্রে গোয়েন্দা চরিত্র মানেই সাধারণত ব্যোমকেশ, ফেলুদা(jeetu kamal) কিংবা কিরীটী রায়ের মতো চরিত্রদের কথা মনে পড়ে। কিন্তু অরণ্য চট্টোপাধ্যায় চরিত্রটি একটু ভিন্নধর্মী। চিকিৎসক হয়েও কীভাবে একজন মানুষ গোয়েন্দার ভূমিকা নিতে পারেন, সেটাই ছবির মূল আকর্ষণ। আর সেই ছবির কাহিনিই এবার প্রকাশ পেল বই আকারে, যার মোড়ক উন্মোচন হলো লালবাজারে, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে(jeetu kamal)
এই বইটি শুধুমাত্র গল্প উপভোগের জন্য নয়, বরং আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্রের একটি নতুন সংযোজনও বটে। এতে রহস্যের সঙ্গে রয়েছে মানবিকতা, বিজ্ঞানের ছোঁয়া এবং সমাজ বাস্তবতার প্রতিফলন(jeetu kamal)
একটি ব্যতিক্রমী প্রচেষ্ট(jeetu kamal)
লালবাজারের মতো জায়গায় বই প্রকাশের এই উদ্যোগ অনেকের কাছেই অভিনব এবং অনুপ্রেরণাদায়ক মনে হয়েছে। যেখানে পুলিশি তদন্ত প্রতিদিনের বাস্তবতা, সেখানেই এক কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্রের কাহিনি তুলে ধরা—এ যেন বাস্তব আর কল্পনার এক অনন্য মেলবন্ধন(jeetu kamal)
এই অনুষ্ঠানটি প্রমাণ করে দিল, একজন শিল্পী যদি চরিত্রে সম্পূর্ণ মগ্ন হন, তবে তিনি শুধু স্ক্রিপ্ট পড়েই থেমে থাকেন না, বরং সেই চরিত্রকে আরও জীবন্ত করে তুলতে মাঠে নামেন নিজেই(jeetu kamal)
জিতু কামালের এই প্রয়াস এবং পুলিশ কমিশনারের উপস্থিতিতে বই প্রকাশ—দু’টিই প্রমাণ করে দেয়, বাংলা বিনোদন জগতে নতুন ধরনের গল্প এবং চরিত্রের জন্য তৈরি হচ্ছে এক অনন্য মঞ্চ।(jeetu kamal)