সম্প্রতি দেশের বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে, যা সাধারণ (Vegetable Price) ভোক্তাদের জন্য একটি স্বস্তির খবর বটে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এর ফলে, চালের বাজারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও (Vegetable Price) মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন এই দাম হ্রাসে উপকৃত হচ্ছেন। তবে চালের দাম কমলেও, বাজারে সবজির দামে ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি ভোক্তাদের নতুন চিন্তার সৃষ্টি করেছে।(Vegetable Price)
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম (Vegetable Price) প্রায় প্রতিটি পণ্যে বেড়ে গেছে। একদিকে চালের দাম কমেছে, তবে অপরদিকে দৈনন্দিন রান্নার প্রধান উপাদান সবজির দাম (Vegetable Price) বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা বেশ চিন্তিত। তারা বলছেন, চালের দাম কমলেও বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। একদিকে খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে গেলে একেকটি পরিবারের জন্য বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।(Vegetable Price)
বর্তমানে বাজারে ভালো মানের বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।(Vegetable Price) যা গত এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে তা ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ধুন্দুল, বরবটি, চিচিঙ্গা ও করলার(Vegetable Price) দামও বেড়ে ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও এই পণ্যের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁকরোলের দাম—এটি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।(Vegetable Price)
ক্রেতারা বলছেন, “চালের দাম কমলেও সবজির দাম এতটা বাড়লে(Vegetable Price) পরিবারের বাজার খরচ বেশ বেড়ে যাচ্ছে। সপ্তাহে একাধিকবার বাজারে গিয়ে সবজি কিনতে গিয়ে খুবই সমস্যা হচ্ছে। একদিকে আমরা চালের দাম কম হওয়ার ফলে একটু স্বস্তি পাচ্ছি, তবে সবজির দাম বাড়লে স্বস্তি কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।” বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। তারা বর্তমানে অল্প কিছু কিনে রান্না করার চেষ্টা করছেন যাতে সংসারের ব্যয় সামাল দিতে পারেন(Vegetable Price)
এই পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারের দামে(Vegetable Price) এই অস্থিরতা কমাতে সরকারের যথাযথ মনিটরিং দরকার। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা করলে অনেক ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের দখল থেকে মুক্ত হয়ে কম দামে সবজি বাজারে আনা সম্ভব হবে। এছাড়া, মৌসুম অনুযায়ী ফলনের পূর্বাভাস নিয়ে আগেভাগে বাজার পরিকল্পনা করলে এই ধরনের দামবৃদ্ধির সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কৃষকরা যদি সময়মতো উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তবে বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।(Vegetable Price)
এছাড়া, বাজারে নির্দিষ্ট কিছু সবজির জন্য বিশেষ স্টোর এবং বাজারের বিকল্প বিক্রয় চ্যানেল তৈরি করলে দাম (Vegetable Price) নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। বিশেষত কিছু মৌসুমী সবজি, যা একদম নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়, তাদের দাম বেশ উর্ধ্বমুখী হতে দেখা যায়। সরকারি উদ্যোগে যদি ভালো বাজার পরিকল্পনা হয়, তবে এই অস্থিরতা কমানোর সুযোগ থাকবে।(Vegetable Price)
তবে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের দিকেও নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কিছু অঞ্চলে যেখানে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারে সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারেন না, সেখানে এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।(Vegetable Price)
সবশেষে বলা যায়, চালের দাম কমার স্বস্তি থাকলেও সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি ভোক্তাদের জন্য নতুন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা এবং কৃষকদের সঙ্গে সুষ্ঠু যোগাযোগ স্থাপন করে দাম স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা।(Vegetable Price)
