বঙ্গ বিজেপির (BJP) দায়িত্বে ফের নরম লোক বেছে নেওয়া হল। দলটির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি টিভি চ্যানেলে সুবক্তা বলে পরিচিত। বিধানসভা নির্বাচনে শমীকের উপর দলীয় কোন্দল মেটানোর গুরু দায়িত্ব। মনে করা হচ্ছে যত নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসবে বিজেপির অভ্যন্তরে লঙ্কাকাণ্ড দেখা যাবে। ফলে ঘরে বাইরে বিপুল চাপ নিয়েই দলের রেজাল্ট ভালো করানোর পরিশ্রমে নামলেন শমীক।দ
আশির দশকে দলটি তৈরির পর থেকে বঙ্গ বিজেপির করুণ হাল ছিল। সর্বাধিক ভালো ফল বলতে গরম কথা বলা দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা। দিলীপবাবু নিজেই এমন দাবি বারবার করেন। যদিও তার বিরোধীদের কটাক্ষ, দলের সেরা পারফরম্যান্সে আছে মোদীর চমক।
দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচি থেকে আপাতত দূরে আছেন সদ্য বিবাহিত দিলীপ ঘোষ। জানা যায় কট্টর আরএসএস ছাত্র তথা বর্ষীয়ান দিলীপ ঘোষের বিবাহে আপত্তি জানিয়েছিল সংঘ। তিনি সেই নির্দেশ মানেননি। বিয়ের পরপর দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন। এতে বিজেপির অভ্যন্তরে প্রবল ক্ষোভ ছড়ায়। রোখ চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ ক্ষোভের প্রত্যুত্তর দেন। তারপর থেকে ক্রমে সাংগঠনিক কর্মসূচি থেকে দূরে আছেন তিনি।
বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে নরমপন্থী সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব শেষ করেন। নতুন দায়িত্বে শমীক ভট্টাচার্য। কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর দলের কাছে আপাতত ‘চক্ষুশূল’ দিলীপ ঘোষ ব্যস্ত ছিলেন খড়্গপুরে জনসংযোগে।
খড়্গপুর দিলীপ ঘোষের খাস এলাকা। তিনি প্রাক্তন সাংসদ। গত লোকসভা নির্বাচনে তাকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে এনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ নিজের পরাজয় নিয়ে দলেরই একাংশ নেতাদের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি প্রায় একঘরে।
বিজেপির অভ্যন্তরেই প্রশ্ন শমীকের নেতৃত্ব মেনে নেবেন দিলীপ? মণ্ডল থেকে মণ্ডলে এই প্রশ্নটি ছড়িয়ে পড়ছে।