নদিয়ার কালীগঞ্জে (Adhir Chowdhury) উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় নাবালিকা তামান্না। আজ তার বাড়িতে শোক প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী । অধীর রঞ্জন চৌধুরী তামান্নার মা বাবার সঙ্গে দেখা করে শোক প্রকাশ করেছেন। অধীর বলেছেন যে মেয়েকে কোলে নেওয়ার কথা তার সমাধিতে ফুল দিতে হচ্ছে। এর চেয়ে বেদনাদায়ক কিছু হতে পারেনা। তামান্নার মা বাবা কে পাশে থাকবার আশ্বাস ও দেন অধীর।
গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূলের (Adhir Chowdhury) জয়ের পর বিজয় উল্লাসে বোমাবাজির ঘটনায় নয় বছরের তামান্না খাতুন নিহত হয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ এবং তাঁর ছেলে বিমল শেখ-সহ ৯ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তামান্নার পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সিপিএম সমর্থক হওয়ার কারণে তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছিল। এই ঘটনায় ২৪ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে ১০ জন একই পরিবারের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাটি মাফিয়া হিসেবে কাজ করার অভিযোগও উঠেছে।
অধীর চৌধুরী তামান্নার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং ঘটনার প্রতিবাদে মোলান্দি গ্রামে যান।(Adhir Chowdhury) তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এই ধরনের হিংসা শুধুমাত্র তৃণমূলের জল্লাদরাই করতে পারে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শুধু তৃণমূলের গুন্ডারাজ চলছে।” তিনি দাবি করেন, তামান্নার মৃত্যু রাজনৈতিক হিংসার ফল, এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য, এবং দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
এই ঘটনা কালীগঞ্জে (Adhir Chowdhury) থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তামান্নার পরিবার অভিযোগ করেছে যে, অভিযুক্তদের পরিবার তাদের হুমকি দিচ্ছে, যা তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা এই হিংসার জন্য তৃণমূলের গুন্ডামিকে দায়ী করছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও তামান্নার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং এই ঘটনাকে “তৃণমূলের সন্ত্রাস” বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানি JF-17 কে পরাজিত করে এক নম্বরে পরিণত হবে ভারতের Tejas যুদ্ধবিমান
কালী গঞ্জের এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসার আরও একটি জ্বলন্ত উদাহরণ তৈরী করেছে। অধীর চৌধুরীর সফর এবং তাঁর তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণকে আরও জোরদার করেছে। (Adhir Chowdhury) তবে, তৃণমূল দাবি করছে, বিরোধীরা এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আগামী দিনে এই ঘটনার তদন্ত এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া রাজ্যের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা দেখার বিষয়।