মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার,(Aparajita Bill) নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একটি নতুন আইন পাস করেছে, যার নাম ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪’। এই বিলের অন্যতম প্রধান দিক হল ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের জন্য কঠোরতম শাস্তি নির্ধারণ করা। (Aparajita Bill) ধর্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত এমন যে, তা সমাজে ভয় ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। তবে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিল পাশ হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দিল্লি কেন নীরব তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে(Aparajita Bill)
কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতা: একটি বড় প্রশ্(Aparajita Bill)
রাজ্য বিধানসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পরও কেন্দ্র কেন এতটা চুপ? (Aparajita Bill) ধর্ষণের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি প্রবর্তন করা কি শুধুমাত্র রাজ্যের দায়? নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের এটি নিষ্ক্রিয়তা আর দ্বৈতনীতি প্রমাণ করছে? দিল্লির সরকার, যার উচিত ছিল রাজ্যের এই উদ্যোগকে(Aparajita Bill) সমর্থন দেওয়া, তা অজ্ঞাত কারণে এখনও চুপচাপ রয়েছে। এই ধরনের উদাসীনতা যে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই(Aparajita Bill)
অথবা, অার জি কর মেডিকেল কলেজ ও কসবা ল’ কলেজের তুলন(Aparajita Bill)
এমন সময়ে যখন রাজ্য সরকার ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রবর্তনের জন্য সক্রিয়, তখন এই দুটি ঘটনাও সামনে এসেছে, যা এই সমাজের বাস্তবতা ও অন্যায্যতার বিরুদ্ধে সঠিক আলোকপাত করে। (Aparajita Bill) কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনায় একজন হতভাগ্য চিকিৎসক ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে, এই ঘটনার পর মিথ্যা তথ্য এবং রাজনৈতিক কূটকৌশলের মাধ্যমে কিছু পক্ষ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। চিকিৎসক সমাজের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে সত্যের থেকে মনোযোগ সরিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করা যায়(Aparajita Bill)
অন্যদিকে, কসবা ল’ কলেজের ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই(Aparajita Bill) সরাসরি ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত এবং তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ঘটনা ও বয়ান পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়েও মিথ্যা গল্প তৈরির কোনো সুযোগ হয়নি। সুতরাং, এই দুটি ঘটনা আলাদা হলেও, উভয়েই সমাজের মধ্যে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে(Aparajita Bill)
ধর্ষণ: এক আদিম অভিশা(Aparajita Bill)
ধর্ষণ শুধুমাত্র একজন নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে না, বরং এটি সমাজের সার্বিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধর্ষকের অপরাধের পেছনে কোনো জাত-ধর্ম নেই। (Aparajita Bill) এটি এক ধরনের প্রবৃত্তি, যা মানুষের নৈতিক ও শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। গবেষণা বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষকরা যৌন তৃপ্তির জন্য নয়, বরং এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতার দম্ভ থেকে এই অপরাধ সংঘটিত করে। এই অপরাধের পর তারা ভুল বুঝতে পারে, কিন্তু তা তখনকার জন্য অনেক দেরি হয়ে যায়(Aparajita Bill)
আর জি কর মেডিকেল কলেজের সঞ্জয় এবং কসবা ল’ কলেজের মনোজিৎ: একে অপরের মতো অপরাধ(Aparajita Bill)
তবে, অপরাধী যে কোন জায়গা থেকে আসুক না কেন, তাদের সমাজে কোনো(Aparajita Bill) স্থান থাকা উচিত নয়। আর জি কর মেডিকেল কলেজের সঞ্জয় এবং কসবা ল’ কলেজের মনোজিৎ দুইই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী। সঞ্জয় একজন চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে এবং তার অপরাধ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল। অন্যদিকে, মনোজিৎ তার সহকর্মীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল এবং একে অপরকে আঘাত করেও হত্যা করতে পারেনি। এই ঘটনা দুটি দেখায় যে, ধর্ষণ একাধিক ধরণের হতে পারে এবং অপরাধী যে কোনো প্রেক্ষাপটেই থাকতে পারে(Aparajita Bill)
কনক্লুশন: সম্মতির অভাব নয়, সংহতির প্রয়োজ(Aparajita Bill)
যখন সমাজে ধর্ষণ একটি সাধারণ অপরাধ হয়ে উঠছে,(Aparajita Bill) তখন এটিকে শুধু শাস্তির মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং শাস্তির ক্ষেত্রে কঠোরতা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার যখন এই উদ্যোগ নিয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল এটি সমর্থন দেওয়া। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল স্তরে একতাবদ্ধ হতে হবে(Aparajita Bill)
অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪ এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত, এবং এই ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য সমাজ ও আইন উভয়কেই আরও শক্তিশালী করতে হবে।(Aparajita Bill)