জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant-Kishor) বিহারের রাজনীতিতে এক নতুন ঝড় তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিহারের মানুষ এখন আর ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমারের বিদায় নিশ্চিত। এটা শুধু আমি বলছি না।
গত দেড় মাস ধরে যাঁরা জনসভায় যাচ্ছেন এবং মানুষের কথা শুনছেন, (Prashant-Kishor) তাঁরা জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখছেন। আমরা যে গ্রাম ও ছোট শহরগুলিতে যাচ্ছি, সেখানে খুব কমই নেতারা পৌঁছান। সেখানে যে জনতা আসছে, তারা শুধু প্রশান্ত কিশোরের কথা শুনতে আসছে না। তারা এমন মানুষ, যারা আরজেডি এবং নীতীশ-বিজেপির দুই দলের শাসনব্যবস্থার কার্যকলাপ ও ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।
তবুও, বিকল্পের অভাবে তারা এদের মধ্যে একজনকে ভোট দেয়। কিন্তু জন সুরাজের তিন বছরের প্রচেষ্টা মানুষের মনে শুধু আস্থাই তৈরি করেনি, বরং তাদের পথও দেখিয়েছে যে এটি একটি বিকল্প হতে পারে।” তাঁর এই বক্তব্য বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক নতুন মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জন সুরাজের (Prashant-Kishor) উত্থান ও জনগণের ভরসাপ্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ বিহারের রাজনীতিতে এক নতুন বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে তিনি বিহারের গ্রাম ও শহরে পদযাত্রার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন, “আমরা যে গ্রাম ও অঞ্চল গুলিতে যাচ্ছি, সেখানে সাধারণত কোনও নেতা পৌঁছান না। সেখানকার মানুষ আমাদের কথায় ভরসা পাচ্ছেন। তারা দেখছেন যে জন সুরাজ তাদের জন্য একটি বিকল্প হতে পারে।”
তিনি (Prashant-Kishor)আরও জানান, বিহারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আরজেডি এবং নীতীশ-বিজেপি জোটের শাসনে অসন্তুষ্ট। তবে, বিকল্পের অভাবে তারা এই দুই দলের একটিকে ভোট দিয়ে এসেছেন। জন সুরাজের প্রচেষ্টা এই ধারণা ভাঙছে যে বিহারে এই দুই দল ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।বিহারের মানুষের সমস্যাবিহারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বেকারত্ব, শিক্ষার অভাব, স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি এবং পরিকাঠামোর দুর্বলতা এখানকার মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।
প্রশান্ত কিশোর (Prashant-Kishor) দাবি করেন, “বিহারের মানুষকে কাজের জন্য আর বাইরের রাজ্যে যেতে হবে না। আমরা তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে কাজের সুযোগ তৈরি করব।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিহারের উন্নয়নের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন, যা জন সুরাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাঁর মতে, নীতীশ কুমারের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার বিহারের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ব্যর্থতাপ্রশান্ত কিশোর নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডি(ইউ)-বিজেপি জোটকে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই সরকার বিহারের মানুষের জন্য কাঙ্খিত উন্নয়ন আনতে পারেনি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা বিহারের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, “নীতীশ কুমারের বিদায় নিশ্চিত। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়।” তিনি বলেন, “আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি, মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁরা এখন আর ডবল ইঞ্জিনের শাসনে বিশ্বাস হারিয়েছে। আমরা তাঁদের জন্য একটি নতুন পথ দেখাতে চাই।”জনগণের ক্ষোভ ও প্রত্যাশাবিহারের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কথা উল্লেখ করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, মানুষ এখন আরজেডি এবং নীতীশ-বিজেপি জোটের বিকল্প চায়।
তাঁদের মতে, জন সুরাজের (Prashant-Kishor) প্রচেষ্টা মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে। তিনি বলেন, “বিহারের মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে তাঁদের আরও ভালো বিকল্প আছে। আমরা তাঁদের সেই বিকল্প দিতে চাই।” তাঁর এই বক্তব্য বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন গতিপথের ইঙ্গিত দিচ্ছে।বিহারের উন্নয়নের জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গিজন সুরাজের লক্ষ্য হল বিহারের জনগণের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
প্রশান্ত কিশোর (Prashant-Kishor) বলেন, “আমরা বিহারের মানুষের জন্য স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চাই, যাতে তাঁদের আর বাইরের রাজ্যে যেতে না হয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিহারের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং পরিকাঠামোর উন্নতি প্রয়োজন। তাঁর মতে, জন সুরাজ এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনাপ্রশান্ত কিশোরের (Prashant-Kishor) বক্তব্য বিহারের রাজনৈতিক মহলে এক নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাঁর জন সুরাজ আন্দোলন বিহারের মানুষের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছি। তাঁরা আমাদের উপর ভরসা করছেন।”
ইন্ডিয়ান অয়েল প্লান্টে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৭০
তাঁর এই প্রচেষ্টা বিহারের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ বিহারের মানুষের জন্য একটি নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। তাঁর দাবি, বিহারের মানুষ আর ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের উপর ভরসা করতে চায় না। তাঁর পদযাত্রা এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি একটি নতুন রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করছেন। বিহারের ভবিষ্যৎ এখন জন সুরাজের হাতে। তাঁর এই প্রচেষ্টা বিহারের রাজনীতিতে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।