এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারত-ইংল্যান্ডের (India) মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে। টসে জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা ভারতীয় দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম টেস্টের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে, অন্যদিকে ভারতীয় দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে—নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং অর্শদীপ সিংকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের পেসারদের (India) জন্য সুবিধাজনক বলে মনে করা হচ্ছে, যা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের জন্য কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।টস এবং এজবাস্টনের পিচে সবুজ আবরণ থাকলেও এর নীচে শুষ্ক স্তর রয়েছে, যা প্রথম দিনে পেসারদের সাহায্য করতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রথম দিনে মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স এবং জশ টাঙ্গের নেতৃত্বে (India)ইংল্যান্ডের বোলিং ইউনিট প্রথম টেস্টে ভারতের নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের ধসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিডসে প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে হারের পর ভারতীয় দল তিনটি পরিবর্তন এনেছে।
জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, (India) এবং তাঁর জায়গায় অর্শদীপ সিং দলে এসেছেন। অর্শদীপের বাঁহাতি পেস বোলিং ভারতীয় আক্রমণে বৈচিত্র্য যোগ করবে। এছাড়া, শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং সাই সুদর্শনের জায়গায় ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে নেওয়া হয়েছে।
নীতিশ, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় এসেছিলেন, তাঁর ব্যাটিং এবং মিডিয়াম-পেস বোলিং ভারতের মধ্যম সারিকে শক্তিশালী করবে। ওয়াশিংটন সুন্দরের অফ-স্পিন এবং ব্যাটিং ক্ষমতা দলের ভারসাম্য বজায় রাখবে। তবে, কুলদীপ যাদবের মতো একজন আক্রমণাত্মক স্পিনারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এজবাস্টনে টসে হেরে ব্যাটিং ভারতের, আবহাওয়া-পিচের মিশেলে সুবিধা বোলারদের
ইংল্যান্ড (India) তাদের বিজয়ী একাদশে কোনও পরিবর্তন আনেনি। জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জো রুট, হ্যারি ব্রুক এবং অধিনায়ক বেন স্টোকসের নেতৃত্বে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ‘বাজবল’ কৌশলের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত। প্রথম টেস্টে ৩৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ী হওয়া ইংল্যান্ড এজবাস্টনে তাদের ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইবে।
এজবাস্টনে ভারতের (India) ইতিহাস সুখকর নয়। আটটি টেস্টে সাতটি হার এবং একটি ড্র—এই মাঠে ভারত কখনও জিতেনি। প্রথম টেস্টে যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ভারত হেরেছিল। নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের ধস এবং ক্যাচ মিসের কারণে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল। নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের উপর এখন দলকে সমতায় ফেরানোর দায়িত্ব। তিনি বলেন, “আমরা এখানে জিততে এসেছি। আমাদের ২০ উইকেট নেওয়ার জন্য সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন।”আবহাওয়ার প্রভাব
আবহাওয়া এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রথম দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা খেলায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে আবহাওয়া কিছুটা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পিচের শুষ্ক প্রকৃতি পরবর্তী দিনগুলিতে স্পিনারদের কিছুটা সুবিধা দিতে পারে, যা রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এজবাস্টনে ভারতীয় (India) দলের জন্য এটি একটি কঠিন পরীক্ষা। বেন স্টোকসের টস জয় এবং ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখবে। নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং অর্শদীপ সিংয়ের অন্তর্ভুক্তি দলকে নতুন শক্তি দেবে, তবে কুলদীপের অনুপস্থিতি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারত যদি তাদের ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে উন্নতি আনতে পারে, তবে সিরিজে সমতা ফেরানো অসম্ভব নয়।