বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, (Sukanta Majumdar) কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দল হওয়ার কারণে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এবং এর ফলে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ১৯ জুন, (Sukanta Majumdar) ডায়মন্ড হারবারে এক দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত, সেখানে ঘটে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যা আজ কলকাতা হাইকোর্টে মামলার রূপ নিয়েছে।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ডায়মন্ড হারবারে(Sukanta Majumdar) যাওয়ার সময় তাঁর কনভয়ের ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি আরো বলেন, এই হামলার সময় সেখানে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন, তবে তৎকালীন পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।(Sukanta Majumdar) এর ফলস্বরূপ, সুকান্ত মজুমদার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা নিয়ে রাজ্যের এবং লোকসভার অধ্যক্ষদের কাছে চিঠি পাঠান। তিনি অভিযোগ করেন যে, পুলিশ শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতা হওয়ার কারণে তাঁকে বারবার হেনস্থা করছে(Sukanta Majumdar)
এরপর, কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে সুকান্ত মজুমদার গড়িয়াহাট মোড় (Sukanta Majumdar) থেকে কসবা থানা অভিযানে নামেন, যেখানে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। সুকান্ত ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পরিস্থিতি তার মনে আরো সন্দেহ এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করে, এবং তিনি ঠিক করেন যে, তিনি আইনি পথে যাবেন।(Sukanta Majumdar)
আজ, ৫ জুলাই, সুকান্ত মজুমদার কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছে, এবং তাঁর(Sukanta Majumdar) মৌলিক অধিকারগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। সুকান্ত বলেন, “আমি বারবার বলেছি, পুলিশ অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলের নেতা হওয়ার কারণে তারা আমার উপর অত্যাচার করছে। আমি এমনভাবে আটকানো হয়েছি, যা বেআইনি। এজন্য আমি মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, এবং আমি বিশ্বাস করি যে, আমি সুবিচার পাব।”(Sukanta Majumdar)
এই ঘটনায়, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে দলের সাধারণ (Sukanta Majumdar) কর্মীরা সুকান্ত মজুমদারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁকে অবিলম্বে সুবিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যা পুরোপুরি অসাংবিধানিক এবং অন্যায্য(Sukanta Majumdar)
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের কাছে(Sukanta Majumdar) সুকান্ত মজুমদারের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে, এবং শুনানি আগামী সপ্তাহে হবে বলে জানা গেছে। আদালত শুনানির পর পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সুকান্ত মজুমদারের এই মামলা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ একাধিকবার উঠে এসেছে(Sukanta Majumdar)
সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের মধ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে, তা হল:
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুলিশ কি বিরোধী দলকে টার্গেট করছে(Sukanta Majumdar)
এমন আচরণ পুলিশের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত?(Sukanta Majumdar)
বিরোধী দলের নেতাদের অধিকার রক্ষার জন্য আদালত কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে?(Sukanta Majumdar)
প্রসঙ্গত, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্য একটি বড় বিষয় হলো(Sukanta Majumdar) পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের অভিযোগ প্রায়শই উঠে এসেছে। সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতাদের মতে, রাজ্য পুলিশ ব্যবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব অত্যাধিক। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে সুকান্তের আদালতে এই আবেদন এই বিষয়ের প্রতি আবারো দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে(Sukanta Majumdar)
সুকান্ত মজুমদারের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া শুধু তাঁর ব্যক্তিগত(Sukanta Majumdar) অভিযোগের বিষয় নয়, বরং এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের নেতাদের আস্থা এবং মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের একটি বড় দৃষ্টান্ত। সুকান্ত বিশ্বাস করেন যে, আদালত তার অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করবে এবং তাঁকে সুবিচার দেওয়া হবে(Sukanta Majumdar)
এই মামলার পরিণতি কী হবে, তা জানার জন্য পুরো রাজ্য এবং রাজনৈতিক মহল চোখ রাখছে। আগামী দিনে আদালত কী রায় দেয়, তা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পালাবদল আনতে পারে।(Sukanta Majumdar)