গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগী শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রিত। গতবছর জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে পতন হয় শেখ শাসন! তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে যে মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে, সেই মামলায় আদালত অবমাননা করার দায়ে ট্রাইবুন্যালের জুরি বেঞ্চ দিল কারাদণ্ডের সাজা।
উল্লেখ্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে তাকে ফাঁসি দিতে হবে এমন দাবি উঠেছে। বুধরার (২ জুলাই) যখন শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে জুরিরা সাজা ঘোষণা করেন। এর পরই বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যম ও জনজীবনে উচ্ছাস দেখা যায়।
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বারবার শেখ হাসিনার টানা দেড় দশকের শাসনকে স্বৈরাচারের শাসন বলেছেন। তিনি আগেই জানিয়েছেন, গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বনেও জানান তিনি।
ঢাকার সংবাদপত্র ‘সমকাল’ জানাচ্ছে, “আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক (প্রাক্তন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।”
“ইত্তেফাক” সংবাদপত্র জানিয়েছে, “আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।
‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’-এমন একটি হুমকি মন্তব্য শেখ হাসিনা নামে ভাইরাল হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে অডিওটির সত্যতা দাবি করে। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।