সামনের বছরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন।(Shaukat Mollah) ভোটের ঢাকে কাঠি না পড়লেও রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আর ঠিক এই সময়েই ভাঙড়ে নজরকাড়া এক কর্মসূচি নিয়ে হাজির হলেন তৃণমূলের ভাঙড় পর্যবেক্ষক ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা(Shaukat Mollah) । মঙ্গলবার তিনি ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের জাগুলগাছি অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন, শোনেন তাঁদের সমস্যা এবং খোঁজ নেন কোন কোন সরকারি পরিষেবা থেকে তাঁরা এখনও বঞ্চিত রয়েছেন(Shaukat Mollah)
শওকতের এই কর্মসূচিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তৃণমূল দাবি করছে, এটি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে বিরোধীরা একে দেখছেন নিছক ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রচেষ্টা হিসেবে। কারণ কিছুদিন আগেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড় থেকে(Shaukat Mollah) তৃণমূলকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, “তৃণমূলের সব ভাঁওতাবাজি। ওরা আসে, ছবি তোলে, তারপর চলে যায়। মানুষের জন্য কিছুই করে না।” বিরোধীদের দাবি, শওকতের এই জনসংযোগ কার্যত সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াতেই করা হয়েছে(Shaukat Mollah)
জনসংযোগ না কি ভোট কৌশল(Shaukat Mollah)
রাজনীতিতে জনসংযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, বিশেষ করে যখন ভোটের সময় ঘনিয়ে আসে। ভাঙড়ে শওকতের এই জনসংযোগ কর্মসূচিও সেই larger political context-এর মধ্যেই পড়ে।(Shaukat Mollah) তৃণমূল নেতারা বলছেন, রাজ্যের প্রশাসনের একাধিক প্রকল্প যেমন—‘বাংলার আবাস যোজনা’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘সরাসরি দিদিকে বলো’ প্রভৃতি প্রকল্পের কার্যকারিতা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এই কর্মসূচির লক্ষ্য।(Shaukat Mollah)
শওকত মোল্লা এদিন জানান, “আমরা যাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম, (Shaukat Mollah) অধিকাংশ পরিবারের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। আশা করি, তাঁরা দ্রুত এই সুবিধা পাবেন। আর যাঁদের নাম এখনও তালিকায় নেই, তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি ‘সরাসরি দিদিকে বলো’-তে যোগাযোগ করতে। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন।”(Shaukat Mollah)
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তৃণমূল নেতৃবৃন্দ চাইছেন, রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলিকে কেন্দ্র করে জনভিত্তি গড়ে তুলতে। তবে প্রশ্ন উঠছে—এই উদ্যোগটি কি সত্যিই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস, না কি সাম্প্রতিক বিরোধী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা(Shaukat Mollah)
বিরোধীদের তোপ(Shaukat Mollah)
আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকির মন্তব্য এই পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।(Shaukat Mollah) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ—তারা শুধু লোক দেখানো কাজ করে, বাস্তবে মানুষের কোনও উপকারে আসে না। তিনি বলেছিলেন, “তৃণমূল ভোটের সময় এলে মাঠে নামে, তারপর উধাও হয়ে যায়। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনও সংযোগ নেই।”(Shaukat Mollah)
এই মন্তব্যের ঠিক কয়েকদিন পরই ভাঙড়ে শওকতের এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কেউ কেউ মনে করছেন, তৃণমূলের অভ্যন্তরেই ভাঙড়ে সংগঠনের মজবুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফলে এই ‘জনসংযোগ’ আদতে রাজনৈতিক ক্ষয় রোধের কৌশল হতে পারে।(Shaukat Mollah)
বিজেপি-কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে শওকতের পাল্টা আক্রমণ(Shaukat Mollah)
শুধু আইএসএফ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রের মোদী সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলার মানুষ মমতাকেই ভরসা করে।”(Shaukat Mollah)