দোষী হলে কঠোর শাস্তি হোক, বললেন মনোজিতের বাবা

কসবা কলেজ (Kasba Law College) গণধর্ষণ-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। গ্রেফতার করা হয়েছে মনোজিতের দুই…

Manojit Sarkar Criminal History

কসবা কলেজ (Kasba Law College) গণধর্ষণ-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। গ্রেফতার করা হয়েছে মনোজিতের দুই সঙ্গীকেও। কিন্তু তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তার আগেই শুরু হয়েছে তীব্র মিডিয়া ট্রায়াল। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মনোজিতের বাবা রবিন মিশ্র।

পেশায় পুরোহিত রবিন মিশ্র কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এক ছোট ঘরে বসে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “মিডিয়া একটা প্যারালাল বিচারব্যবস্থা চালাচ্ছে। আমার অনুরোধ, একটু ধৈর্য ধরুন। যদি মনোজিত দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে আইনমাফিক যা শাস্তি হওয়ার হবে। আমি চাই, যদি সে দোষী হয়, তাহলে যেন সবচেয়ে কঠোর শাস্তিই হয়।”

   

রবিন মিশ্রের আক্ষেপ, “মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন টিভি টক শো-তে মনোজিতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে আজগুবি কথা বলা হচ্ছে। কেউ বলছেন, ‘২০০ কোটি টাকার মালিক’, কেউ বলছেন ‘চারটে দোকানের মালিক’, কারও মতে গলায় মোটা সোনার চেন!” এই অভিযোগের জবাবে রবিন বলেন, “আরটিআই করে দেখে নিন আমরা কত টাকার মালিক! আজকাল মিডিয়ায় যা খুশি বলা হচ্ছে, সেটাই সত্যি বলে মেনে নেওয়া হচ্ছে।”

অতীতের মামলার অভিযোগ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ:
মনোজিতের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা ছিল—এমন তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসার বিষয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রবিন মিশ্র। তিনি বলেন, “গল্পের গরু গাছে তোলার মতো ব্যাপার চলছে। মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়াল দিয়ে তো বিচার হয় না। বিচার হবে আদালতে, তদন্ত হবে পুলিশের মাধ্যমে।”

Advertisements

রবিন মিশ্র আরও বলেন, “কলকাতা পুলিশ দেশের অন্যতম সেরা তদন্তকারী বাহিনী। বহু সময় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয় কলকাতা পুলিশের। তাই আমি পুলিশের তদন্তের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যাঁরা মিডিয়াতে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, তাঁরা সবাই শিক্ষিত এবং সম্মানীয় মানুষ। তাঁদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, প্রকৃত সত্য সামনে আসার আগে দয়া করে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। তদন্ত শেষ হোক, তারপর সত্যিটা সামনে আসুক।”

কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “তদন্ত পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং নির্দিষ্ট গতিতে এগোচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”