সীমান্ত বিতর্ক জটিল, সমাধানে সময় লাগবে, আলোচনা চায় চীন

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ “জটিল”৷ এর নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে৷ এমনই মন্তব্য করল চীনের বিদেশ মন্ত্রক। তবে, বেজিং স্পষ্ট জানিয়েছে যে তারা সীমা নির্ধারণ এবং…

India China Border Dispute

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ “জটিল”৷ এর নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে৷ এমনই মন্তব্য করল চীনের বিদেশ মন্ত্রক। তবে, বেজিং স্পষ্ট জানিয়েছে যে তারা সীমা নির্ধারণ এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি রক্ষার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।

ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

এই মন্তব্যটি এসেছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের ২৬ জুন কিংডাওয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রেক্ষিতে। বৈঠকটি শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়।

   

বৈঠকে রাজনাথ সিং সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের পাশাপাশি বিদ্যমান সীমা নির্ধারণ প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দেন। তিনি একটি কাঠামোবদ্ধ রোডম্যাপের মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলির সমাধানের আহ্বান জানান।

সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল India China Border Dispute

চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এর নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে।” তবে তিনি যোগ করেন, “ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ে (SR-level) আলোচনার মেকানিজম গঠিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক নির্দেশিকা ও নীতিমালায় সম্মতি হয়েছে।”

চীন ভারতকে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, “আমরা সীমা নির্ধারণ ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ও সহযোগিতা বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য।”

Advertisements

২০২৪ সালের সমঝোতা

২০২৪ সালের অক্টোবরে পূর্ব লাদাখে সামরিক বাহিনী সরানো সংক্রান্ত যে সমঝোতা হয়েছিল, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ২৩তম SR বৈঠকে উভয় পক্ষই সেটি বাস্তবায়নের প্রতি আশাবাদ প্রকাশ করে। সেই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই অংশ নেন।

সীমান্তে প্রতিবেশীসুলভ পরিবেশ

রাজনাথ সিং তাঁর বক্তব্যে সীমান্তে “ভালো প্রতিবেশীসুলভ পরিবেশ” গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মাটিতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং পাকিস্তানে পরিচালিত ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর কথাও তুলে ধরেন।

চীন জানিয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে চায়। মুখপাত্র মাও বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চীনের সঙ্গে একই পথে এগোবে, সংলাপ বজায় রাখবে এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থিতি রক্ষা করবে।”

এই বৈঠককে ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনরায় স্থিতিশীল করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।