কলকাতা: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টিপাত ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে উপকূল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর অবস্থান করছে এবং তা ধীরে ধীরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পরবর্তী গন্তব্য উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজস্থানের নিম্নচাপ অঞ্চল পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে, যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ঝাড়খণ্ডের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে। এই অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব
আজ, ১ জুলাই থেকে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা, যেখানে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা না থাকলেও, শুক্রবার (৫ জুলাই) থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে। নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও সতর্কতা West Bengal Monsoon Rains
উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে কোথাও কোথাও ৭ থেকে ১১ সেমি পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই পাঁচ জেলায় আজ হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
সর্তকতা
আবহাওয়া দফতর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে, জলাশয়ের ধারে না যাওয়া, বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুসরণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া, কৃষক এবং চাষিদেরও বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।