কসবা কাণ্ডে তৃণমূল নেত্বতৃকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ‘বিস্ফোরক’ রাজন্যা-প্রান্তিক

কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। বঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ সরব হয়েছে প্রতিবাদে। (Rajannya-Prantik) অভয়া কাণ্ডের পর আবারও এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনার…

Rajannya-Prantik slams trinamool

কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। বঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ সরব হয়েছে প্রতিবাদে। (Rajannya-Prantik) অভয়া কাণ্ডের পর আবারও এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে বাংলার মানুষ কে। শুধু রাজ্য নয় বাংলার বাইরে থেকেও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের বিবৃতি আলোড়ন ফেলছে রাজনৈতিক মহলে।

কসবা কাণ্ডে তৃণমূলের মধ্যেই নানা মুনির নানা মত। কেউ অভিযুক্তদের চিনতে অস্বীকার করেছেন। কেউ বলেছেন “বন্ধু বান্ধবীকে ধর্ষণ করলে কে নিরাপত্তা দেবে। ” আবার এ কোথাও শোনা গেছে এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী অভিযোগকারিনী।

   

ঠিক এমন সময়ে তৃণমূলের দুই বহিস্কৃত কর্মী রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীর (Rajannya-Prantik) মতামত আলোচনায় উঠে এসেছে। রাজন্যা এবং প্রান্তিক অভয়া কাণ্ডের আদলে চলচিত্র নির্মাণ করে বিতর্কে জড়ান। সেই বিতর্কের ফলশ্রুতিতে তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

এই দুজনেই এবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রান্তিক- রাজন্যার মতে যদি সিনেমা করে দল থেকে বহিস্কৃত হতে হয় তবে ধর্ষণের মত অপরাধ করলে তাদের বাঁচাবার চেষ্টা কেন করবে দল।

একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজন্যা (Rajannya-Prantik) সরাসরি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিবৃতি মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “ধর্ষণকারীদের মাথায় গুলি করে মারা উচিত।” অনুব্রত মন্ডল এবং তার সাম্প্রতিক ভাইরাল ফোনালাপ নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন “ওনার সম্বন্ধে বলতে গেলে আমায় কয়েক দশক পিছিয়ে যেতে হয়”। তিনি আরও বলেন অনুব্রত এতো বড় অপরাধ করেও কোনো শাস্তি পাননি। দল তাকে বহিস্কার করা তো দূরস্থান কোনো আইনানুগ ব্যাবস্থাও নেয়নি।

রাজন্যার (Rajannya-Prantik) মতে “আমরা মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নই। যে শিক্ষাঙ্গনে আমরা শিক্ষা নিতে যাই সেখানেই আমাদের ধর্ষিতা হতে হচ্ছে। এই ঘটনা তুলে ধরেছিলাম বলে আজ দলে আমরা ব্রাত্য।” তার মতে তিনি এবং প্রান্তিক আজ যে বক্তব্যই রাখুন না কেন তা সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে কারণ স্পষ্ট কথা বলায় দল তাদের ছেঁটে ফেলেছে এবং তাদের আজ কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তিনি চান অপরাজিতা বিল পাস্ হয়েছে সেই অনুসারেই দোষীদের শাস্তি হোক।

Advertisements

প্রান্তিক  ও (Rajannya-Prantik)তার মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন দল যেন দোষীদের আর আশ্রয় না দেয়। দলের উচিত অভিযুক্তদের কঠিনতম শাস্তি দেওয়া। রাজন্যা মদন মিত্র কে সমর্থন করে বলেছেন “কাউন্সিলার এবং পঞ্চায়েত প্রধান দের মূল মন্ত্র টাকা। সাধারণ মানুষের যে কোনো চাহিদা পূরণ করতে তারা টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। এই দলে শিক্ষার দাম নেই দলীয় পদ থেকে সম্মান সব কিছুই বিক্রি হচ্ছে।”

অবশ্য রাজন্যা-প্রান্তিক (Rajannya-Prantik) দুজনেই বলেছেন যে এই বক্তব্যের জন্য তাদের আরও খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তবে প্রান্তিক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন যে যারা নিজের সব টুকু দিয়ে দল কে ভালোবাসছে দল তাদের ব্রাত্য করছে।

Inside Story: কেন শাহরুখ খান ২০২৫ সালে বড় বাজেটের স্ক্রিপ্ট প্রত্যাখ্যান করছেন?

এক ই সাথে যারা দল বিরোধী কাজ করছে, ধর্ষণের মত অপরাধ করছে,  সংগঠন তাদেরকেই মাথায় করে রেখেছে। রাজন্যা এবং প্রান্তিকের বক্তব্য, কি ছাপ ফেলে তা সময় ই বলবে এবং এই বক্তব্যের জন্য তাদের কি আরও কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে ? তাও বলবে ভবিষ্যৎ।