স্ত্রী খুন করে ২২ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লেন ৭২ বছরের বৃদ্ধ

২২ বছর আগের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য শেষমেশ ভেদ করল কর্নাটক (Karnataka) পুলিশ। স্ত্রীকে খুন করে দুই দশকেরও বেশি সময় পালিয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের…

স্ত্রী খুন করে ২২ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লেন ৭২ বছরের বৃদ্ধ

২২ বছর আগের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য শেষমেশ ভেদ করল কর্নাটক (Karnataka) পুলিশ। স্ত্রীকে খুন করে দুই দশকেরও বেশি সময় পালিয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৭২ বছর বয়সি হনুমন্তাপ্পা। কর্নাটকের কোপ্পাল জেলার বাসিন্দা এই বৃদ্ধকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে গঙ্গাবতী টাউন থানার পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সেই বছর এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় একটি বাসের মধ্য থেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় মৃতার নাম রেণুকাম্মা। তিনি অভিযুক্ত হনুমন্তাপ্পার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন।

   

ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ হন হনুমন্তাপ্পা। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল সে। কখনও নিজের পরিচয় পরিবর্তন করে, কখনও অন্য শহরে পরিচিতি গোপন করে নতুন জীবন শুরু করেছিল।

সম্প্রতি পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, রায়চুর জেলার হলাধল গ্রামে নিজের পুরোনো বাড়িতে ফিরেছে হনুমন্তাপ্পা। সেই খবরের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়ার পরই পুরোনো মামলা নতুন করে খুলে ফেলে পুলিশ। গঙ্গাবতী টাউন থানার তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন কোথায় কোথায় ছিল এবং তাকে কারা সাহায্য করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

Advertisements

পুলিশ সূত্রে খবর, গত দুই দশকে রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে নিজের পরিচয় লুকিয়ে থেকেছে হনুমন্তাপ্পা। কখনও কৃষিকাজ করেছেন, কখনও দিনমজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এমনকি নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরা শেষে অভিযুক্তকে শীঘ্রই আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে তার রিমান্ড চাইবে পুলিশ। হত্যার উদ্দেশ্য, খুনের পরিকল্পনা এবং এত বছর ধরে পালিয়ে থাকার পিছনের কারণ খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রায়চুর ও কোপ্পাল জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিস্ময়ের সঞ্চার হয়েছে, কীভাবে একজন ব্যক্তি এতদিন পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকতে পারে।

গঙ্গাবতী টাউন থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই দীর্ঘসূত্রিতার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হওয়ায় তদন্তে গতি আসবে। হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ ও প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।