কিছু ঘন্টার অপেক্ষা। শুক্রবার বিকেলেই কলকাতা ফুটবল লিগের নতুন মরসুমের অভিযান শুরু করতে চলেছে ইমানী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে মেসার্স ক্লাব। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী বিকেল তিনটে থেকে নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্চল স্টেডিয়ামে আয়োজিত হতে চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বর্তমানে সেদিকেই নজর রয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। বলাবাহুল্য, শেষ সিজনে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল ক্লাব। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। যারফলে অনায়াসেই তাঁরা স্থান করে নিয়েছিল সুপার সিক্সে।
পরবর্তীতে কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে আসলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদের সাথেই লিগ অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। পরবর্তীতে কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের পাল্লা ভারী থাকলেও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি গতবারের বিজয়ী দল। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশের উপরেই নির্ভর করছে সমস্ত কিছু। কিন্তু সেই সব দূরে রেখে সপ্তাহ কয়েক আগে থেকেই নতুনের জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল।
প্রথমদিকে দলের অনুশীলনী উপস্থিত ছিলেন না জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জ৯Bino George)। পরবর্তীতে যোগদান করেন তিনি। বলাবাহুল্য ,গত বছর ও দলের অভূতপূর্ব সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন দক্ষিণ ভারতের এই কোচ। এবারও তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। এবার কলকাতা লিগের পাশাপাশি বিনোর হাত ধরেই সর্বভারতীয় স্তরেও সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকবে ময়দানের এই প্রধানের। হিসাব অনুযায়ী দেখলে গত মরসুমের লিগে মোট ১২টি ম্যাচের মধ্যে ১১ টি ম্যাচেই অপরাজিত ছিল ইস্টবেঙ্গল। সেইসাথে একটি ড্র ছিল তাঁদের।
নতুন প্রতিভাবানদের দিয়ে সেই ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য থাকবে সকলের। দলের নতুন ফুটবলারদের প্রসঙ্গে বিনো বলেন, ” নতুন ফুটবলাররা আমার খেলার পরিকল্পনার সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। এটা দলকে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে। আমরা সিএফএলে আমাদের আধিপত্য বজায় রাখতে চাই কারণ এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল লিগ। বিশেষ করে তরুণ ফুটবলারদের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করার একটা সেরা মঞ্চ।”