ভারতে জ্বালানি তেলের দাম (Petrol Prices) প্রতিদিন সকাল ৬টায় পরিবর্তন হয়। দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলি (OMCs) যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ও রুপির বিনিময় হার পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। এর ফলে গ্রাহকরা প্রতিদিনের সবচেয়ে সঠিক ও আপডেটেড দাম জানতে পারেন এবং এতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
আজকের (২৪ জুন) শহরভিত্তিক পেট্রোল ও ডিজেলের দাম:
নয়াদিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৯৪.৭২ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৭.৬২ টাকা।
মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ১০৪.২১ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯২.১৫ টাকা।
কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০৩.৯৪ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯০.৭৬ টাকা।
চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম ১০০.৭৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯২.৩৪ টাকা।
আহমেদাবাদে পেট্রোলের দাম ৯৪.৪৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯০.১৭ টাকা।
বেঙ্গালুরুতে পেট্রোলের দাম ১০২.৯২ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৯.০২ টাকা।
হায়দরাবাদে পেট্রোলের দাম ১০৭.৪৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৫.৭০ টাকা।
জয়পুরে পেট্রোলের দাম ১০৪.৭২ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯০.২১ টাকা।
লখনউয়ে পেট্রোলের দাম ৯৪.৬৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৭.৮০ টাকা।
পুনেতে পেট্রোলের দাম ১০৪.০৪ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯০.৫৭ টাকা।
চণ্ডীগড়ে পেট্রোলের দাম ৯৪.৩০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮২.৪৫ টাকা।
ইন্দোরে পেট্রোলের দাম ১০৬.৪৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯১.৮৮ টাকা।
পাটনায় পেট্রোলের দাম ১০৫.৫৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৩.৮০ টাকা।
সুরাটে পেট্রোলের দাম ৯৫.০০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৯.০০ টাকা।
নাসিকে পেট্রোলের দাম ৯৫.৫০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৯.৫০ টাকা।
মূল্য অপরিবর্তিত কেন?
২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা মূল্য কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মূল কারণ হলো কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কর হ্রাস। এই কর হ্রাস জ্বালানি দামের ওপর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল।
তবে, যদিও দাম অপরিবর্তিত থেকেছে, তবুও প্রতি দিন সকালে এই হালনাগাদ মূল্য ঘোষণা করা হয় যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বড় ওঠানামা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিফলিত হয়।
জ্বালানি দামের ওপর প্রভাব ফেলে যেসব কারণ:
১. অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক দাম:
ভারতের বাজারে জ্বালানি দামের সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হল আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম। কারণ, পেট্রোল ও ডিজেল মূলত এই অপরিশোধিত তেল থেকেই উৎপন্ন হয়।
২. রুপি বনাম ডলারের বিনিময় হার:
ভারত তার প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের বড় অংশ আমদানি করে। সেজন্য, রুপির মান যদি ডলারের তুলনায় কমে যায়, তবে আমদানির খরচ বেড়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে পেট্রোল-ডিজেলের খুচরা দামে।
৩. কর কাঠামো:
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের করের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক একটি রাজ্যে করের হার ভিন্ন হওয়ায় দামেও পার্থক্য দেখা যায়।
৪. পরিশোধন খরচ:
অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি তৈরি করতে খরচ হয়। এই খরচও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, যার প্রভাব বাজারে পড়ে।
৫. চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য:
যেকোনো পণ্যের মতো, জ্বালানির ক্ষেত্রেও বাজারের চাহিদা ও সরবরাহ দামের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষত উৎসব বা পরিবহন সিজনে।
কীভাবে জানবেন আপনার শহরের বর্তমান দাম (SMS-এর মাধ্যমে)
আপনার শহরের পেট্রোল বা ডিজেলের বর্তমান মূল্য জানার জন্য এখন আর অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ঢোকার দরকার নেই। SMS-এর মাধ্যমেও আপনি তা জানতে পারবেন।
Indian Oil গ্রাহকরা:
RSP <City Code> লিখে পাঠান ৯২২৪৯৯২২৪৯ নম্বরে।
Bharat Petroleum গ্রাহকরা:
RSP লিখে পাঠান ৯২২৩১১২২২২ নম্বরে।
Hindustan Petroleum গ্রাহকরা:
HP Price লিখে পাঠান ৯২২২২০১১২২ নম্বরে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কলকাতার দাম জানতে চান এবং আপনি ইন্ডিয়ান অয়েলের গ্রাহক হন, তাহলে লিখুন RSP 3534 এবং পাঠিয়ে দিন নির্ধারিত নম্বরে।
ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতিদিন পরিবর্তন হলেও গত কয়েক বছর ধরে তা অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে কর হ্রাস ও সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে। তবুও আন্তর্জাতিক বাজারে বড়সড় পরিবর্তন হলে ভবিষ্যতে দাম ওঠানামা করতে পারে। তাই প্রতিদিন সকালে ৬টার পর দাম জানার অভ্যাস গড়ে তোলা আজকের দিনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষত যারা পরিবহন খাতে যুক্ত বা নিয়মিত গাড়ি চালান।
এছাড়াও, সরকারের কর নীতি, বৈশ্বিক মন্দা, ও রুপির মান—সবকিছুই একসঙ্গে জ্বালানির দামের ওপর প্রভাব ফেলে, যা সাধারণ ভোক্তার ব্যয় পরিকল্পনার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।