IAF: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) তার শক্তি এবং আধুনিক অস্ত্রের জন্য পরিচিত। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান প্রায়শই এর অগ্নিশক্তি দেখে ভীত থাকে। ভারতীয় বায়ুসেনা বহরে এমন অনেক যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা শত্রুদের পরাজিত করতে সক্ষম।
আকাশের রক্ষক হিসেবে পরিচিত ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের মজুদ রয়েছে। এই বিমানগুলি কেবল আমাদের সীমান্ত রক্ষা করে না বরং শত্রুকে উপযুক্ত জবাব দিতেও সক্ষম। এই যুদ্ধবিমানের মধ্যে কিছু এমন যে তাদের গর্জনে শত্রুদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে হয়। আসুন জেনে নিন ভারতীয় বায়ুসেনার সেই ৫টি সবচেয়ে বিপজ্জনক যুদ্ধবিমান কোনটি।
ভারতীয় বায়ুসেনা সময়ে সময়ে তার শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। আজ ভারতীয় বায়ুসেনা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বায়ুসেনা। এর যুদ্ধবিমানগুলি কেবল অতি-আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত নয়, বরং সমস্ত ধরণের আবহাওয়া এবং পরিস্থিতিতে উড়তে সক্ষম।
এই বিপজ্জনক যুদ্ধবিমানগুলি ওড়ানোর জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই পাইলটরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত। তাদের সাহসিকতা এবং দক্ষতা এই বিমানগুলিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি যুদ্ধবিমানের নাম।
Rafale:
রাফায়েল একটি বহুমুখী যুদ্ধ বিমান। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২,৪৫০ কিলোমিটার। এর যুদ্ধ পরিসীমা প্রায় ৩,৭০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলায় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
Su-30 MKi:
সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানটি একটি দ্বি-ইঞ্জিন-বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২,৫০০ কিলোমিটার। এর পরিসীমা ৩,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা বাতাসে জ্বালানি ভরে আরও বাড়ানো যেতে পারে। অনেক সময়, তার শক্তির জোর ভারতকে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে বিশাল সুবিধা দিয়েছে।
Tejas:
এটি একটি হালকা বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২,২০৫ কিলোমিটার। একই সাথে এর যুদ্ধ পরিসীমা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।
Mirage 2000:
এটি একটি বহুমুখী একক ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২,৩৩৬ কিলোমিটার। একই সাথে এর পাল্লা প্রায় ১,৫৫০ কিলোমিটার।
MiG 29:
এটি একটি দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২,৪০০ কিলোমিটার এবং এর পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার।