সাড়ে তিন হাজার টাকা মাসিক বেতনভোগী এক পঞ্চায়েতকর্মীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন কোটি টাকা! সরকারি নথিপত্র জালিয়াতি ও (Fake Birth Certificate Scam) অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে গ্রেফতার গৌতম সর্দারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
Read Hindi: तनख्वाह ₹3,500, लेकिन बैंक अकाउंट में ₹3.5 करोड़! गिरफ्तार पंचायत कर्मी
ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র থেকে কোটিপতি!
গৌতম সর্দার, যিনি পাঠানখালি পঞ্চায়েতে মাত্র ₹৩,৫০০ টাকা বেতনে কর্মরত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—সরকারি পোর্টালের লগ-ইন কারসাজি করে ৩৫০০-রও বেশি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র জারি করেছেন। এই সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্য তিনি এজেন্ট ও সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতি সার্টিফিকেটে ₹২,০০০-₹২,৫০০ করে নিতেন।
কীভাবে ধরা পড়ল?
একটি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসে গৌতমের নাম। তার ব্যক্তিগত সেভিংস অ্যাকাউন্টে অসঙ্গত লেনদেনের তথ্য পেয়ে তদন্ত জোরদার করে কলকাতা পুলিশ। বাসন্তীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে থাকা গৌতমের অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ₹৩.৫ কোটি গচ্ছিত রয়েছে। ২০২২ সাল থেকেই অর্থ প্রবাহ বেড়েছে, তবে ২০২৪-২৫ সালে তা অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
সরকারি পোর্টাল হ্যাক করে নিজের মোবাইলে ওটিপি!
তদন্তে উঠে আসে, সরকারি পোর্টাল থেকে জন্ম শংসাপত্র ইস্যুর সময় যে OTP দরকার হয়, তা সরাসরি গৌতমের মোবাইলে যেত। ফলে পঞ্চায়েত প্রধান বা অন্য আধিকারিক কিছু বুঝতেই পারতেন না। দুইটি অপশন—নিজ এলাকার এবং ভিন এলাকার নাগরিকের শংসাপত্র জারি—ব্যবহার করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি প্রভৃতি জেলা থেকেও ভুয়ো আবেদন করিয়ে শংসাপত্র ইস্যু করা হত।
লেনদেনে অনিয়ম
তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, অনলাইন এবং অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই টাকা জমা হত। নগদ লেনদেনেও গৌতম নিজেই টাকা দিতেন ব্যাঙ্কে। এজেন্টদের অ্যাকাউন্ট ট্রেস করার চেষ্টা চলছে। শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে, কলকাতা পুলিশ গৌতমের হেফাজতে চায়। আদালত ২৬ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।