তুফানগঞ্জে চা বাগান ধ্বংসে তৃণমূলকে বেলাগাম আক্রমণ শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu) সামাজিক মাধ্যম এক্স এ একটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করেছেন। ভিডিও টিতে দেখা যাচ্ছে একটি চা বাগানে…

suvendu slams tmc

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu) সামাজিক মাধ্যম এক্স এ একটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করেছেন। ভিডিও টিতে দেখা যাচ্ছে একটি চা বাগানে কিভাবে জেসিবি চালিয়ে দিয়ে বাগান টি ধ্বংস করা হচ্ছে।

তিনি পোস্ট টি তে লিখেছেন

তিনি (suvendu)  পোস্ট টি তে লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার একবার ফিরে তাদের আদিবাসী-বিরোধী মুখোশ প্রকাশ করেছে। মাত্র একদিন আগে, তুফানগঞ্জের রসিকবিলে অবস্থিত একটি চা বাগান, যা আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের জীবিকার একমাত্র উৎস, নির্মমভাবে জেসিবি দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

   

এটি উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার উপর সরাসরি আক্রমণ। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক না হওয়ায় এই সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আমাদের প্রধান হুইপ শ্রী শঙ্কর ঘোষ এই গুরুতর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

আমরা (suvendu)  আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি এই অন্যায় সহ্য করব না। আমি এলাকার আদিবাসী ভাই-বোনদের আশ্বাস দিচ্ছি, যদি এই ধ্বংসযজ্ঞ না থামে, তবে আমরা চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই নিপীড়ক প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি বিশাল আন্দোলন গড়ে তুলব।

ঘটনার বিবরণ (suvendu) 

তুফানগঞ্জের রসিকবিলে অবস্থিত চা বাগানটি স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য জীবিকার প্রধান উৎস। এই বাগানে কাজ করে শতাধিক আদিবাসী পরিবার তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু গতকাল জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে এই চা বাগানের বড় অংশ ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধ্বংসকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রভাব কম থাকায় তাদের জীবিকার উপর এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা মনে করছেন(suvendu) ।

এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তারা বলছেন, চা বাগান ধ্বংস করার ফলে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক পরিবার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, কারণ তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এই চা বাগান।

বিধানসভায় প্রতিবাদ

বিধানসভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে শঙ্কর ঘোষ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি (suvendu) বলেন, “এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আদিবাসী-বিরোধী নীতির প্রকাশ। উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবিকার উপর এই আক্রমণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন।

ঘোষের এই বক্তব্য বিধানসভায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি সরকারকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো এবং এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে এই ধ্বংসকাণ্ডের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ

রসিকবিলের চা বাগান ধ্বংসের ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা (suvendu)  বলছেন, এই চা বাগান শুধু তাদের জীবিকার উৎস নয়, বরং তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অংশ। একজন স্থানীয় আদিবাসী শ্রমিক বলেন, “আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বাগানে কাজ করে আসছি। এটি ধ্বংস করা মানে আমাদের জীবন ধ্বংস করা। আমরা এই অন্যায় মেনে নেব না।”

Advertisements

আদিবাসী নেতারা অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল সরকার তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি উদাসীন। তারা বলছেন, উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক মূলত অন্য সম্প্রদায়ের উপর নির্ভরশীল, এবং আদিবাসীদের প্রতি সরকারের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এই ঘটনাকে তারা সরকারের আদিবাসী-বিরোধী নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখছেন।

আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

শঙ্কর ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “যদি এই ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে না থামানো হয়, তবে আমরা চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলব।” তিনি জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন এবং শ্রমিক ইউনিয়ন অংশ নেবে। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবিকা নিয়ে খেলা করা বন্ধ করতে হবে। আমরা এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব।”

এই হুঁশিয়ারি তৃণমূল সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। (suvendu)  উত্তরবঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে, এবং তাদের অসন্তোষ সরকারের জন্য রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজেপি এই অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজেপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে তুলে ধরে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার কাজ শুরু করেছে।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস (suvendu) এই অভিযোগের জবাবে বলেছে যে চা বাগান ধ্বংসের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। দলের এক মুখপাত্র জানান, “আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবিকার প্রতি সংবেদনশীল। এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকায় শিরোপার লড়াইয়ে চার দল, নাম প্রত্যাহার ভারতের

আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য চ্যালেঞ্জ

উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। চা বাগানগুলি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবিকার উৎস। এই ধরনের ঘটনা তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ফেলে। স্থানীয় নেতারা বলছেন, সরকারের উচিত এই সম্প্রদায়ের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা এবং চা বাগানগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

রসিকবিলের চা বাগান ধ্বংসের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি এই ঘটনাকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ এবং আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তৃণমূল সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলায়,(suvendu)  তা আগামী দিনে রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা উত্তরবঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবিকা এবং ন্যায়ের প্রশ্নকে সামনে এনেছে, যা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।