বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের আকাশে কেঁপে উঠলো এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। এয়ার ইন্ডিয়ার বয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে৷ যার জেরে ২৪১ জন প্রাণ হারালেন। যাদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল ও তরুণ কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার ৷
ক্যাপ্টেন সাভারওয়াল: শেষ মুহূর্তে বাবার যত্ন নিতে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি
মুম্বইয়ের পওয়াইয়ের সেই ধীরস্থির, শান্ত স্বভাবের ক্যাপ্টেন সাভারওয়াল ছিলেন তাঁর সহকর্মীদের জন্য এক নিদর্শন। দীর্ঘ ৮২০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন ছিলেন পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল প্রতীক। নিজের পেশায় যত্নশীল ও দায়িত্ববান এই মানুষটি, কেবল কয়েক দিন আগেই ঠিক করেছিলেন অবসর নিয়ে তাঁর বৃদ্ধ পিতার পাশে থেকে তাঁর যত্ন নেবেন।
“সেই শান্ত, ভালো মানুষটি চলে গেলো,” বললেন পরিবারের বন্ধু সঞ্জীব পাই। “তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য এক অপরিসীম ক্ষতি।”
ক্লাইভ কুন্ডার: স্বপ্নের আকাশে নতুন উড়ানে তরুণ প্রাণ Tale of two pilots
মাত্র ১,১০০ ঘণ্টার ফ্লাইট অভিজ্ঞতা নিয়ে কুন্ডার ছিলেন ক্যারিয়ারের শুরুর পথে। তাঁর মা ছিলেন বিমান ক্রু, বিমানজগৎ ছিল তাঁর খুব কাছের। মুম্বাইয়ের বোম্বে ফ্লাইং ক্লাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে পেশাদার জীবনে পা রেখেছিলেন তিনি।
তাঁর বোন ক্লিনে জানিয়েছেন, “আমার বাবা-মা অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। আমরা সবাই খুব দুশ্চিন্তায় আছি, আহমেদাবাদে যাচ্ছি পরিস্থিতি জানতে।”
এক মিনিটের লড়াই, চিরবিদায়ের বেদনাদায়ক শেষ
বিমানটি মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠতেই ‘স্টল’ করে যায়—মানে গতি কমে যায়, ভারসাম্য হারায়। কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় পাইলটদের। শেষ মুহূর্তে তাঁরা MAYDAY সঙ্কেত পাঠালেও, আর কিছু জানা যায়নি। বিমানটি ভেঙে পড়ে আহমেদাবাদের কাছে এক আবাসিক অঞ্চলে। আগুন ধরে যায় সঙ্গে সঙ্গেই।
DGCA ও এয়ার ইন্ডিয়া তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে এত বড় দুর্ঘটনা, এত অভিজ্ঞ পাইলটের থাকা সত্ত্বেও বিমানের স্টল—এইসব প্রশ্ন ঘুরছে যাত্রী ও উড়ান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।