আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার শোকের মাঝেই কি তীব্র হচ্ছে নাশকতার ছায়া ?

আহমেদাবাদ (ahmedabad) থেকে টেকঅফ করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ এর দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বিমানের ২৪২ জন যাত্রীর বেশির ভাগ ই ভিআই পি ক্যাটাগরির। যার…

ahmedabad plane crash

আহমেদাবাদ (ahmedabad) থেকে টেকঅফ করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ এর দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বিমানের ২৪২ জন যাত্রীর বেশির ভাগ ই ভিআই পি ক্যাটাগরির। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম বিজয় রূপানি, যিনি গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লন্ডন যাচ্ছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তিনিও প্রয়াত হয়েছেন। রণজিৎ বিশ্বাস একমাত্র যাত্রী যিনি প্রাণে বেঁচেছেন এবং আপাতত হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

দুর্ঘটনার পরে উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন(ahmedabad)। তার সঙ্গে দানা বাঁধছে প্রচুর সন্দেহ, যেমন এই এক ই দিনে বিমান টি দুবার আকাশে উড়েছে এবং সকাল ১১ টায় ল্যান্ড করে আহমেদাবাদে (ahmedabad)। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১.৩০ অব্দি যতক্ষণ টেকঅফ হয়নি, বিমানটি যথেষ্ট নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ছিল। সেই সময়ে ওই বিমান টি যথেষ্ট পরীক্ষা ও করা হয়েছিল কিন্তু কোনো টেকনিক্যাল ফল্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। রান ওয়ে দিয়ে যখন ফ্লাইট টি রোল করা শুরু করে তখন ও পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা চোখে পড়েনি কারুর ই।

   

এখন প্রশ্ন উঠে আসতেই পারে তবে এটি কি কোনো নাশকতার ছক। যদিও সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। সাম্প্রতিক কালেও অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান ক্রমাগত ড্রোন হামলা করেছে আহমেদাবাদ (ahmedabad) সহ সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে আজকের এই ঘটনায় কোনো হাইজাকিং বা অস্বাভাবিক কিছু সাদা চোখে দেখা যায়নি। যদিও বিমানের ব্ল্যাক বক্স এখনো মেলেনি, যা দিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন তো উঠবেই এই বিমানটি নিয়ে, যে বিমানটি এতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবে আকাশে উড়েছিল।

প্রয়াত ব্যক্তির আয়কর রিটার্ন কি আবশ্যক? উত্তরাধিকারীর কী জানা উচিত, জানুন বিস্তারিত

Advertisements

যে বিমানের পাইলটরা এত অভিজ্ঞ সেই বিমান টেক অফের ৭ মিনিটের মধ্যে কি করে মুখ থুবড়ে পড়ল, যার কারণে ২৪১ জন মানুষের প্রাণ গেল। শুধু তাই নয় বি যে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে আহত হয়েছেন অনেকে এবং সেখানেও হতাহত হবার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ভারত পাকিস্তান দ্বন্দের রেশ কাটেনি, এর মধ্যেই দেশে ঘটে গেল এমন একটি ঘটনা যা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই(ahmedabad)।

তবে ভবিষ্যতের তদন্ত ই পরিষ্কার করবে ঠিক কি সমস্যা ছিল ফ্লাইট টি তে। সবথেকে বড় সন্দেহ দানা বাঁধছে ফ্লাইট টেক অফ করল কিন্তু তা গতি নিলেও উচ্চতা নেয়নি কেন (ahmedabad)। তবে কি বিমান দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে আরো বড় নাশকতার ছক, যেমনটা আমরা দেখেছিলাম ৯/১১ তে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর ক্ষেত্রে। কিন্তু তার প্রেক্ষাপট ছিল অন্য। তবে সাম্প্রতিক ভারত পাকিস্তান ঠান্ডা লড়াইয়ের মাঝে এই ধরণের নাশকতার ছক একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তবে ভবিষ্যৎ তদন্ত কি বলে তার দিকে নজর থাকবে সবার।