বহু প্রতীক্ষিত ম্যাক্সি-স্কুটার Hero Xoom 160-এর ডেলিভারি নিয়ে অবশেষে আশার আলো দেখা গেল। এ বছর আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ স্কুটারটির ডেলিভারি শুরু হতে পারে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) এই স্কুটারটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১,৪৮,৫০০ টাকা (এক্স-শোরুম) মূল্যে লঞ্চ করেছিল।
প্রাথমিকভাবে এপ্রিল থেকে ডেলিভারি চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডিলারদের কাছে স্কুটারটির স্টক পৌঁছায়নি। এমনকি বর্তমানে বুকিং প্রক্রিয়াও স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে সংস্থা তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মীদের জন্য Xoom 160-সংক্রান্ত ট্রেনিং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শীঘ্রই স্কুটারটি শোরুমে পৌঁছাতে শুরু করবে।
Hero Xoom 160-এর বুকিং বন্ধ
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, Xoom 160-এর প্রথম ব্যাচের ডেলিভারি শুরু হওয়ার পরেই আবারও বুকিং চালু করা হবে। এর আগে সংস্থা ঘোষণা করেছিল যে স্কুটারটির ডেলিভারি এপ্রিল মাসে শুরু হবে, কিন্তু কিছু কারণে সেই সময়সীমা পিছিয়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক উন্নয়নের ফলে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে হিরো তাদের আরও তিনটি নতুন মডেলের উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এগুলি হল – Xpulse 210, Xtreme 250R এবং Xoom 125R। এই মডেলগুলিও জানুয়ারিতে Xoom 160-এর সঙ্গে লঞ্চ হয়েছিল এবং গত কয়েক মাস ধরেই এই তিনটি বাইকের ডেলিভারি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে Xoom 125R-এর ক্ষেত্রে ডিলারশিপে ভাল সাড়া মিলছে, যার অন্যতম কারণ এর আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বড় ১৪-ইঞ্চির চাকা।
Suzuki V-Strom SX-এ এখন 5,000 টাকা ছাড়, অ্যাডভেঞ্চার বাইকপ্রেমীদের পোয়া বারো!
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হিরো এই চারটি নতুন টু-হুইলার শুধুমাত্র তাদের ‘Premia’ ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রি করছে, যেগুলি ভারতের অন্যান্য সাধারণ Hero শোরুমের তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম। ২০২৪ সালের শেষে কোম্পানির মোট ৪০টি Premia ডিলারশিপ ছিল, ছড়িয়ে রয়েছে দেশের ৩৫টি শহরে। এরপর থেকে নতুন ডিলারশিপ সংযোজন নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আপডেট আসেনি।
Hero Xoom 160-এর ফিচার
Hero Xoom 160 একটি সম্পূর্ণ ম্যাক্সি-স্কুটার এবং এটি সরাসরি Yamaha Aerox 155-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই স্কুটারটিতে রয়েছে একটি ১৫৬ সিসি লিকুইড-কুল্ড ইঞ্জিন, যা CVT অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সঙ্গে যুক্ত। ইঞ্জিনটি ১৪.৬ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ফিচারের দিক থেকে স্কুটারটিতে রয়েছে এলইডি লাইটিং, স্মার্ট কী, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল এবং রিমোট কী ইগনিশন। সাসপেনশন সিস্টেমে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে ডুয়াল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ব্রেকিংয়ের জন্য সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেকের সঙ্গে ABS সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে।
জুনে Kawasaki-র অফার আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের, 45,000 ছাড়ে বাইক কিনতে লম্বা লাইন
প্রসঙ্গত, Hero Xoom 160-এর ডেলিভারি বিলম্বে হতাশ হলেও, আগস্ট থেকে স্কুটারটির বাজারে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। প্রিমিয়া ডিলারশিপ সীমিত হলেও Hero-এর এই নতুন ম্যাক্সি-স্কুটার তার ফিচার, পারফরম্যান্স ও ডিজাইনের মাধ্যমে বাজারে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে। আগ্রহী ক্রেতাদের বুকিং পুনরায় চালু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং তাদের নিকটবর্তী প্রিমিয়া ডিলারশিপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
