ওরে গৃহবাসী,
খোল দ্বার খোল
লাগল যে দোল।
এই গান আজ শুধু বসন্তের নয়।এই গান আজ শুধুই রবিময় চেতনার রঙিন কোলাজ নয়।লাল-নীল-সবুজ আবির উড়ুক ফাগুন-প্রেমের বাতাসে।দরজা খুলে দাঁড়াক জীবন,রঙের পরশ লাগুক প্রবাসে।দু’বছর দোলে রং খেলা হয়নি। করোনার দাপটে দ্বার ছিল বন্ধ। তবে এবার আর ভার্চুয়াল রং নয়। রং লাগুক গালে,ভ্রুপল্লবে… ভালবাসা গাঢ় হোক।
রঙের উৎসব দোল।কবি বলেছেন রং যেন মোর মর্মে লাগে,আমার সকল কর্মে লাগে, এই কথাকে মনে রেখেই টলিপাড়ার সেলেবরা মেতেছে রঙের উৎসব দোলযাত্রায়।আজ সকাল থেকেই সাজ সাজ রব অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার এর বাড়িতে।নিজেকেই নীল পোশাকে সাজিয়ে আজ সে রাধার রূপে।বন্ধুদের সঙ্গে নাচে গানে রঙের হলিতে মাতলেন।শুধু ইন্দ্রানী নয়,এদিন রঙের খেলায় মেতেছেন সপরিবারে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও।
লাল,নীল,সবুজ আবিরে মেতে উঠেছেন সকলে।শুধু কলকাতাতে নয়।এই বছরের দোলটা সত্যিই স্পেশ্যাল- ইংল্যান্ডেও।ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার মতো সুন্দর ড্যাফোডিলের ঘুম ভেঙেছে বসন্তের জাদুকাঠির ছোঁয়ায়।একটা সময় ছিল যখন মায়েরা পুরোনো,ছেঁড়া-ফাটা জামা বার করে দিতেন দোলের দিন।বলিউডের হাত ধরেই সেই ট্রেন্ডটা বদলে গেল হঠাৎ।বদলে দিলেন অমিতাভ আর রেখা।সাদা পোশাকে ‘রং বরসে ভিগে চুনরওয়ালি’ দোলের ফ্যাশনে ট্রেডমার্ক হয়ে গেল।
তবে রঙের উৎসবে সন্ধের সাজ রং-বাহারি হতেই হবে। পোশাকে থাকবে বসন্তের রং।বসন্তে ড্যাফোডিলের হলুদ আদর পায় লন্ডন।পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ায় লাল হয় কলকাতা।এই রঙের পরশেই মুছে যাক বৈরিতা,ভালবাসার আলিঙ্গনে। রঙের উৎসবে হোক মানবতার উদযাপন।ছোটবেলায় রং খেলতে যাওয়ার আগে মায়েরা ভাল করে তেল মাখিয়ে দিতেন চুলে।সেই ‘তেলচিটে’ স্মৃতি এদিন ছিল আউট অফ ফ্যাশন। কিন্তু সেই তেলে মিশে থাকা আদর, স্নেহ আর মমতার কোনও ক্ষয় নেই। তা আজও দরকার আমাদের… বিশেষ করে ‘যখন ফাগুন লেগেছে বনে বনে।”