Anti Satellite Missiles of India: যখনই কোনও সেনাবাহিনী শক্তিশালী হয়, তখন কেবল সৈন্যের সংখ্যাই দেখা হয় না, অস্ত্রের শক্তিও দেখা হয়। ভারতের কাছে এমন অনেক বিপজ্জনক এবং আধুনিক অস্ত্র রয়েছে, যা ভারতকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে পরিণত করেছে। ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ যার প্রথম উপগ্রহ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (ASAT-অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল) রয়েছে।
স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কী?
অ্যান্টি-স্যাটেলাইট হলো মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করার জন্য তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। এই উৎক্ষেপণগুলি পৃথিবী থেকে ঘটে, কিন্তু মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কাইনেটিক কিল, সাইবার আক্রমণ, লেজার আক্রমণ বা নন-কাইনেটিক পদ্ধতির মাধ্যমে উপগ্রহ ধ্বংস করে। এগুলো বিশেষ করে শত্রু দেশের সামরিক উপগ্রহ, গুপ্তচরবৃত্তি বা নেভিগেশন উপগ্রহকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত হয়।
কাইনেটিক কিল: ASAT ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কাইনেটিক কিল মেকানিজমের উপর কাজ করে। এর মানে হল এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উপগ্রহের সাথে সংঘর্ষ করে এবং এটি ধ্বংস করে, তাও বিস্ফোরক ব্যবহার না করেই।
ভারতের মিশন শক্তি
মিশন শক্তির অধীনে ভারত তার প্রথম ASAT ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কাজটি করল। ASAT ক্ষেপণাস্ত্রটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়নি, তবে এটি পৃথ্বী প্রতিরক্ষা যানবাহন মার্ক-২ (PDV MK-II) এর ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতীয় ASAT ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
- ভারতীয় ASAT ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে উপস্থিত উপগ্রহগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
- এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি প্রতি ঘন্টায় ১৪৭০ থেকে ৬১২৬ কিমি। এটি আরও উন্নত করা যেতে পারে।
- এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হিট-টু-কিল মোডে উচ্চ-গতির উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারে। এটি এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।