চাকরি ফেরাতে পরীক্ষা নয়! আজ চাকরিহারাদের জন্য বিশেষ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের দিকে এখন তাকিয়ে (Mamata Banerjee) গোটা রাজ্য, বিশেষত এসএসসি চাকরিহারা শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে…

Supreme Court Orders Appointment of Two Vice-Chancellors as per Mamata Banerjee’s Recommendation

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের দিকে এখন তাকিয়ে (Mamata Banerjee) গোটা রাজ্য, বিশেষত এসএসসি চাকরিহারা শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে বসতে চলেছেন, যেখানে মূল বার্তা দেওয়া হবে সেইসব চাকরিহারাদের উদ্দেশে, যাঁরা বর্তমানে(Mamata Banerjee) অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।

চাকরিহারাদের দীর্ঘদিনের দাবি, তাঁরা যেন আর কোনও নতুন যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষায় বসতে না হয়। তাঁদের বক্তব্য, একবার যোগ্য প্রমাণিত হয়ে তাঁরা চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও, আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকারের উচিত তাঁদের সরাসরি পুনর্বহাল করা।

   

সচিব পর্যায়ের আলোচনার পরে নতুন মো(Mamata Banerjee) 

সোমবার শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের ছয়জন প্রতিনিধি। সেখানে তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসার মানসিক বা (Mamata Banerjee) শারীরিক প্রস্তুতি নেই। অধিকাংশই বয়সে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন, অনেকে পরিবার চালানোর দায়ে মানসিক চাপে রয়েছেন। ফলে, নতুন করে পরীক্ষা তাঁদের কাছে নিছক অবিচার।

বৈঠকে শিক্ষা সচিব আশ্বাস না দিলেও বলেন(Mamata Banerjee) বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। তবে সরকারের তরফ থেকে কোনও সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেলেনি। ঠিক এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আসে ঘোষণা— সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে তিনি এই ইস্যুতে বক্তব্য জানাবেন। এই ঘোষণাই নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে: তবে কি সত্যিই পরীক্ষা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই?

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও সময়ের চা(Mamata Banerjee) 

একইসঙ্গে মাথায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৩১ মে’র মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। হাতে মাত্র চার দিন। এই চাপের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র কৌতূহল এবং আশঙ্কা। প্রশ্ন উঠছে, এত অল্প সময়ের মধ্যে কি রাজ্য সরকার নতুন কোনও মানবিক পদক্ষেপ নিতে পারবে? নাকি আদালতের নির্দেশ মেনে নতুন করে পরীক্ষাই একমাত্র রাস্তা?

চাকরিহারা বাসুদেব মণ্ডলের কথায়, “আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু বলুন যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়। মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) একসময় বলেছিলেন, তাঁর থাকতেই একজন যোগ্যের চাকরি যাবে না। সেই আশ্বাস এখন বাস্তব রূপ নেবে কি না, সেটাই দেখার।”

Advertisements

চাকরিহারাদের মানসিক অবস্থার প্রতিফল(Mamata Banerjee) 

চাকরি হারানোর পরে দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছেন এই শিক্ষকরা। অর্থনৈতিক দুর্দশা তো রয়েইছে, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সামাজিক অবমূল্যায়ন ও মানসিক অবসাদ। তাঁদের কথায়, “আমরা কোনও অন্যায় করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তাহলে কেন আমরা আবার পরীক্ষা দেব?(Mamata Banerjee) 

তাঁরা মনে করছেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্রশাসনিক দায় ঝেড়ে ফেলার একটি পন্থা হতে পারে। প্রকৃত দায়িত্ব হবে, যাঁরা যোগ্য এবং যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের সরাসরি পুনর্বহাল করা(Mamata Banerjee) 

নজর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার দিক(Mamata Banerjee) 

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাংবাদিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বক্তব্য নির্ধারণ করবে হাজার হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ। তিনি যদি মানবিক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে হাজারও পরিবারে আশার আলো জ্বলবে। আর যদি ফের পরীক্ষার দিকেই ইঙ্গিত দেন, তাহলে তা নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এখন অপেক্ষা— মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, কী প্রতিশ্রুতি দেন, এবং তাঁর বার্তায় সত্যিই ধোঁয়াশা কেটে আশার আলো দেখা যায় কি না।