থাইল্যান্ড এবং হংকং ম্যাচের পূর্বে হুঙ্কার মিডফিল্ডার সুরেশের

ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) মিডফিল্ডার (Midfielder) সুরেশ সিং ওয়াংজামের (Suresh Singh Wangjam) মতে, আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার (AFC Asian Cup 2027 Qualifier)…

Indian Football Team midfileder Suresh Singh Wangjam

ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) মিডফিল্ডার (Midfielder) সুরেশ সিং ওয়াংজামের (Suresh Singh Wangjam) মতে, আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার (AFC Asian Cup 2027 Qualifier) ম্যাচে হংকংয়ের (Hong Kong) বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার আগে থাইল্যান্ডের (Thailand) বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি এক আদর্শ প্রস্তুতি হবে।

কলকাতায় জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবির পুরোদমে চলছে। ১০ জুন হংকংয়ে বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে, ৪ জুন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্লু টাইগার্সরা। সুরেশ মনে করেন, থাইল্যান্ড একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল, যারা হংকংয়ের মতোই রণনীতি অনুসরণ করে এবং তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতীয় দলের প্রস্তুতি যাচাই করার চমৎকার সুযোগ।

   

সুরেশ বলেন, “ভালো বিষয় হলো, আমরা থাইল্যান্ডের মতো একটি দলের সঙ্গে খেলব। যারা আমার মতে হংকংয়ের মতোই প্রতিপক্ষ। ঘরোয়া মরসুম শেষ হওয়ার পর আমরা ১৫ থেকে ২০ দিনের বিরতি পেয়েছিলাম। এরপর ১৮ তারিখ থেকে আমরা ক্যাম্প শুরু করেছি। দিন দিন আমাদের ফর্ম ফিরে আসছে। আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলে মাঠে নামা সব সময় ভালো ব্যাপার। তাই থাইল্যান্ড ম্যাচটি আমাদের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে এবং আমরা বুঝতে পারব আমাদের প্রস্তুতির স্তর কোথায় দাঁড়িয়ে।”

২০১৯ সালে ভারত থাইল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল, কিন্তু তখন সুরেশ জাতীয় দলের অংশ ছিলেন না। তিনি তখন ‘ইন্ডিয়ান অ্যারো’স’ দলের হয়ে খেলতেন। তবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ২০২২ সালের জুন মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে ভারত হংকংকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল, যা এখনও পর্যন্ত সুরেশের জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বড় জয়।

“আমরা যখন হংকংয়ের সঙ্গে খেলেছিলাম, ওরা খুব গোছানো একটা দল ছিল। ফলাফল যাই বলুক, খেলা সহজ ছিল না। এবারে ওদের মাঠে খেলতে হবে, যেটা আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, ছয়টি সেশন হয়ে গেছে এবং প্রতিটি সেশনেই আমরা উন্নতি করছি,” বলেন বেঙ্গালুরু এফসির এই তরুণ মিডফিল্ডার।

Advertisements

আগেরবার কোভিড-১৯ এর কারণে কোয়ালিফায়ার পর্ব একটি কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে এবং রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এবারের চূড়ান্ত পর্বে এএফসি আবারও হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ফিরে এসেছে, যেখানে প্রতিটি দল ১২ মাসে ছয়টি ম্যাচ খেলবে। ভারতের গ্রুপ ‘সি’ তে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। এই গ্রুপ থেকে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন দলই সরাসরি ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে, সৌদি আরবে, খেলার সুযোগ পাবে।

সুরেশ বলেন, “আপনি যাকে জিজ্ঞেস করবেন, খেলোয়াড় হোক বা কোচিং স্টাফ, সবাই বলবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এশিয়ান কাপে খেলা। তবে আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হংকং ম্যাচ। ফ্যানদের কাছে অনুরোধ, আমাদের পাশে থাকুন সবসময়, ভালো বা খারাপ যাই হোক না কেন।”

“হংকং এই মুহূর্তে ভালো ফর্মে রয়েছে। তবে আমরা নিজের উপর মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা ওদের খেলা বিশ্লেষণ করছি এবং আমাদের কৌশল অনুসরণ করব। মাঠে নামার পর দেখা যাবে কী হয়,” বলেন আত্মবিশ্বাসী সুরেশ।

ভারতীয় দলের জন্য এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি জয় কেবল আত্মবিশ্বাসই বাড়াবে না, বরং গ্রুপের শীর্ষে যাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে দেবে। সমর্থকদের প্রত্যাশা, ব্লু টাইগার্সরা যেন এবারের কোয়ালিফায়ারেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারে।