২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাম্প্রতিক মন্তব্য নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। ভাটপাড়ায় বিজেপির(Suvendu Adhikari) এক মিছিলে তিনি বলেন, বাংলায় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, তিনি নির্বাচন কমিশনকে ‘বিশেষ দাওয়াই’ প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।
শুভেন্দুর মতে, বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক(Suvendu Adhikari) পরিবেশ স্বাভাবিক নয়। অনেক জায়গায়, বিশেষ করে ৬০ থেকে ৭০টি আসনে, মানুষ ভোট দিতে পারেন না। সেই(Suvendu Adhikari) কারণে তিনি নির্বাচনকালে দুই মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানান। তার বক্তব্য, “বাংলায় এমন অনেক কেন্দ্র আছে যেখানে ভোটই হয় না। কমিশন যদি রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ভোট করায়, তবে নিরপেক্ষ (Suvendu Adhikari) নির্বাচন সম্ভব।”
এখানেই থেমে না গিয়ে শুভেন্দু অতীতের উদাহরণও টানেন। তিনি বলেন, “২০১১ সালে নির্বাচন কমিশন যেভাবে ভোট পরিচালনা করেছিল, সিপিএমের একটাও দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বা গুণ্ডা রাস্তায় নামতে পারেনি। তেমন নির্বাচন হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ফেরার রাস্তা থাকবেনা।” এখানেই আসে(Suvendu Adhikari) ‘বিশেষ দাওয়াই’-এর প্রসঙ্গ। তাঁর মতে, “বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই এখানকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা দরকার। নির্বাচন কমিশনের হাতে সেই ক্ষমতা আছে।”
শুভেন্দুর এই বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক (Suvendu Adhikari) চাপ প্রয়োগের কৌশল, না কি এর পেছনে বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এই দাবিকে ‘ভয়ের প্রতিচ্ছবি’ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, বিজেপি বুঝে গেছে তারা বাংলায় জনগণের সমর্থন হারিয়েছে, তাই তারা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চায়। অন্যদিকে, বিজেপির (Suvendu Adhikari) মতে, তৃণমূল ভোটের নামে সন্ত্রাস চালায়, প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কোণঠাসা করে দেয়, তাই রাষ্ট্রপতি শাসন ও কঠোর নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপই একমাত্র সমাধান।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই দাবির মাধ্যমে বিজেপি বাংলায় ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে। অতীতে ২০১১ সালে সিপিএম সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলেছিল তৃণমূল। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এখন শুভেন্দু চাইছেন ২০২৬ সালের নির্বাচনেও কমিশন কঠোর ভূমিকা পালন করুক।
তবে বাস্তবতাটা অন্যরকমও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা মোটেই সহজ বিষয় নয়। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে এবং রাজ্য সরকার যদি ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে, তখনই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। শুধু রাজনৈতিক মন্তব্যের ভিত্তিতে এই দাবি কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে নির্বাচন কমিশন(Suvendu Adhikari) সাধারণত তার নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভোট পরিচালনা করে, এবং যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে। ফলে কমিশন কীভাবে ‘বিশেষ দাওয়াই’ প্রয়োগ করবে, তারও নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এই বক্তব্য একদিকে যেমন রাজনৈতিক কৌশল, তেমনি অন্যদিকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা জোরদার করার একটি ইঙ্গিতও বটে। আগামী দিনে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই এই বিতর্ক আরও জোরদার হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।