Kanyashree Cup Final: এবারের এই ফুটবল সিজনে দারুণ ছন্দে রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের ( East Bengal) মহিলা দল। গত মাসেই একের পর এক শক্তিশালী দলকে টেক্কা দিয়ে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় পাওনা ছিল সকলের কাছে। প্রায় একুশ বছর পর সর্বভারতীয় স্তরের কোনও ফুটবল লিগ ট্রফি এসেছে মশাল ব্রিগেডের ঘরে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ রয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। বছর একুশ আগে শেষ বারের মতো জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা। তারপর ও বেশ কয়েকবার এই ট্রফি জয়ের সুযোগ এসেছিল ফুটবলারদের কাছে। এবার মহিলা দলের মধ্যে দিয়ে শাপমুক্তি ঘটেছে ময়দানের এই প্রধানের।
বিগত কয়েক বছর ধরেই একেবারে তথৈবচ পারফরম্যান্স থেকেছে ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ দলের। আগের মরসুমে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার সেই খেতাব ও ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়েছিল মরসুম। অপরদিকে, সময় যত এগিয়েছে ততই লাল-হলুদ জনতার মুখে হাসি ফুটিয়েছে অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। খুব সহজেই জাতীয় লীগ ঘরে তুলেছে সুইটি দেবীরা। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার কন্যাশ্রী কাপ শুরু করেছে মশাল কন্যারা। একের পর এক ম্যাচে সহজেই এসেছে জয়।
গত কয়েকদিন আগেই শক্তিশালী সার্দান সমিতির বিপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে এসেছে জয়। যারফলে জাতীয় লিগের পর এবার রাজস্তরে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। তবে কন্যাশ্রী কাপের ফাইনাল খেলা নিয়ে এবার দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। গত শনিবার সন্ধ্যায় এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল মশাল ব্রিগেডের তরফে। যেখানে বলা হয় আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে ফাইনাল ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে না লাল-হলুদের পক্ষে। তবে সেখানেই শেষ নয়।
আগামী সিজনে থেকে দিনক্ষণের পাশাপাশি ম্যাচের ভেন্যু সম্পর্কে আগে থেকে অবগত না করলে আর হয়তো কন্যাশ্রী কাপে অংশ নেবে না লাল-হলুদ ব্রিগেড।
সেই সাথে এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের প্রসঙ্গ ও উঠে আসতে থাকে তাঁদের তরফে। কিন্তু এবার কন্যাশ্রী কাপ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে বলা হয় চলতি মাসের ২৭ তারিখ আয়োজিত হতে চলেছে এবারের এই মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। সেই নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে জল্পনা।