ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ (IPL 2025) প্লে-অফের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) পেল এক বিশাল অনুপ্রেরণা। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার জশ হ্যাজলউড (Josh Hazlewood) আবার দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে চলা তাদের শেষ লিগ ম্যাচের ঠিক দুই দিন আগে তিনি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যোগ দেন।
চোট ও আইপিএলের সাময়িক স্থগিতাদেশের কারণে হ্যাজলউড অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি তখন কাঁধের চোটে ভুগছিলেন এবং সেই সময় ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সময়টুকু হ্যাজলউড নিজের চোট সারাতে কাজে লাগান।
আরসিবির সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে হ্যাজলউড বলেন, “দলের সঙ্গে আবার যোগ দিতে পেরে দারুণ লাগছে। বাড়িতে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে ব্রিসবেনে গিয়েছিলাম, অনেক ওভার বল করেছি। এখন শরীর পুরোপুরি ঠিক আছে। আবার মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি।”
“Good to be back! Hope to get the ball rolling again and start practice tomorrow”: Josh Hazlewood 🤩
This is @bigbasket_com presents RCB Bold Diaries. 🎥#PlayBold #ನಮ್ಮRCB #IPL2025 pic.twitter.com/8Fbpw3TUHK
— Royal Challengers Bengaluru (@RCBTweets) May 25, 2025
৩৪ বছর বয়সি এই ডানহাতি পেসার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল টিমের নজরদারিতে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ফাইনালের জন্যই তিনি অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তবে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠায় তিনি এখন আইপিএলে খেলতে প্রস্তুত।
আরসিবি শিবির শুরু থেকেই হ্যাজলউডের পুনরাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী ছিল এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছিল। চলতি আইপিএলে তিনি আরসিবির সেরা বোলার ছিলেন, ১০টি ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
আরসিবি ইতিমধ্যেই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে, তবে তারা এখনও টপ-টুতে উঠতে নির্ভর করছে অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের ওপর। শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৪২ রানে হেরে যাওয়ার ফলে তাদের টপ-টুতে থাকার সম্ভাবনা কিছুটা কমে গিয়েছে।
মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) বিরুদ্ধে তাদের শেষ লিগ ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলেও তারা সরাসরি কোয়ালিফায়ার প্রথমে উঠতে পারবে না, যদি না পাঞ্জাব কিংস (PBKS) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খুবই অল্প ব্যবধানে জয় পায়। অন্যদিকে, যদি আরসিবি লখনউ বিরুদ্ধে হেরে যায়, তবে তাদের আবার এলিমিনেটরে খেলতে হবে।
এই অবস্থায় হ্যাজলউডের ফেরা আরসিবির জন্য দারুণ ইতিবাচক একটি দিক। তার অভিজ্ঞতা ও বোলিংয়ের ধার প্লে-অফের কঠিন মুহূর্তে দলের বড় ভরসা হতে পারে। পাশাপাশি, তার সঙ্গে থাকা পেস আক্রমণে ভুবনেশ্বর কুমার এবং জশ দয়াল এখন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
আরসিবির ভক্তদের মধ্যে এখন নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে হ্যাজলউডের ফেরায়। শেষ লিগ ম্যাচে যদি তারা ভাল পারফর্ম করতে পারে, তাহলে তারা প্লে-অফেও বড় চমক দিতে পারে।
শেষ পর্যন্ত, আইপিএল এক অনিশ্চয়তার খেলা। এখানে যেকোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে পরিস্থিতি। কিন্তু হ্যাজলউডের মত বিশ্বমানের একজন পেসার দলে থাকলে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই পাল্টে যেতে পারে ম্যাচের রঙ। আরসিবির জন্য এটা হতে পারে শিরোপা জয়ের পথে এক বড় ধাপ।