বিহার নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত (Nitish Kumar) এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা গেল এক চমকপ্রদ ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী(Nitish Kumar) ও উপমুখ্যমন্ত্রীরা। উদ্দেশ্য ছিল জোটের ঐক্য তুলে ধরা ও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক আরও সুসংহত করা। কিন্তু সেই বৈঠকের মাঝপথেই হঠাৎ করে বেরিয়ে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার(Nitish Kumar) যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এনডিএ-র ঐক্য ধরে রাখতে বৈঠকের আয়োজ(Nitish Kumar)
বিহার নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তার মিত্রদের কাছে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। দিল্লির (Nitish Kumar) অশোকা হোটেলে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। পরিকল্পনা ছিল, (Nitish Kumar) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো এবং জাতি ভিত্তিক জনসুমারি নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নীতিগত(Nitish Kumar) সমন্বয় সাধন এবং নির্বাচনের আগে জোটের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার জন্যই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে তার মাঝেই নীতীশ কুমারের আচরণ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হঠাৎ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া
সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকের কিছুটা সময় কাটার পরেই নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ছেড়ে বাইরে চলে যান। যদিও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন, তাই সাময়িক বিরতি নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণের সময় তিনি আবার যোগ দেবেন। বিজেপি নেতা বিনোদ (Nitish Kumar) তাওড়ে নিজে গেট পর্যন্ত এসে নীতীশ কুমারকে বিদায় জানান, যা আবার এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে এই ঘটনাকে ঘিরে।
রাজনীতির অন্দরমহলে চাপা গুঞ্জন
এই ঘটনার সঙ্গে আরও একটি বিষয়কে জুড়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক(Nitish Kumar) বিশ্লেষকরা—সেই হল, নীতীশ কুমার আগের দিন নীতি আয়োগের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন। (Nitish Kumar) পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তাঁর এই ভূমিকা জোটের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এনডিএ-তে ফের যোগ দেওয়ার পর থেকেই নীতীশ কুমারকে নিয়ে বিজেপির ভিতরে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই কংগ্রেস-আরজেডি জোট ছেড়ে তিনি(Nitish Kumar) আবার এনডিএ-তে ফিরেছিলেন, কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল ‘গদি রক্ষার’ বিষয়টি। কিন্তু এবার বিহার নির্বাচনে (Nitish Kumar) বিরোধীরা জাতি ভিত্তিক জনগণনাকে বড় ইস্যু করতে চলেছে। এই প্রেক্ষিতে নীতীশ কুমারের অবস্থান কী, তা স্পষ্ট নয়।
আগাম সংকেত?
এই ধরনের পরিস্থিতি অনেক সময় আগাম সংকেত হয়ে থাকে রাজনৈতিক (Nitish Kumar) ভাঙনের। যদিও বিজেপি কিংবা জেডিইউ-র তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করা হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভবিষ্যতে এনডিএ-তে ভাঙন ধরা অস্বাভাবিক নয়।
নীতীশ কুমার যেভাবে বিভিন্ন সময়ে জোট বদলে নিজের রাজনৈতিক (Nitish Kumar) অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা করেন, তা একদিকে তাঁকে ‘পলিটিক্যাল সারভাইভার’ হিসেবে পরিচিত করেছে, আবার অন্যদিকে আস্থার অভাবও তৈরি করেছে তাঁর মিত্রদের মধ্যে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, বিহার নির্বাচনের আগে নীতীশ কুমারের আচরণ (Nitish Kumar) ও এনডিএ-র ভেতরে সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তার দিকে নজর রাখছে গোটা দেশ। এই বৈঠকের পরবর্তী ধাপেই হয়তো মিলবে বাস্তব রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত