নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Election Commission) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১৯ জুন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাট, কেরল ও পাঞ্জাবেও ওই দিনই ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ফল প্রকাশ হবে ২৩ জুন।
কালীগঞ্জের আসনটি ফাঁকা রয়েছে গত ১ ফেব্রুয়ারি (Election Commission) থেকে, যখন প্রয়াত হন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দল ও এলাকায় ‘লাল দা’ নামে পরিচিত এই রাজনীতিবিদের(Election Commission) মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছিল কালীগঞ্জ সহ গোটা নদিয়ায়। তাঁর প্রয়াণে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিধানসভা(Election Commission) আসন ফাঁকা হয়ে গেলে ছয় মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন আয়োজন করতে হয়। সেই হিসেবেই ৩১ জুলাইয়ের আগেই নির্বাচন (Election Commission) করানো বাধ্যতামূলক ছিল। নির্বাচন কমিশন সেই নিয়ম মেনেই ১৯ জুন ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে। আগামীকাল, অর্থাৎ ২৬ মে (সোমবার) থেকে শুরু হবে মনোনয়ন পেশ(Election Commission) । মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৫ জুন।
নাসিরুদ্দিন আহমেদ: এক রাজনৈতিক যাত্রাপথ
নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০১১ সালে কালীগঞ্জ কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান। সেবার বাম শিবিরের(Election Commission) গড় ভেঙে জয়ী হন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে তৃণমূলের হয়ে আবার দাঁড়ালেও পরাজিত হন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল আবার তাঁর উপর ভরসা রাখে। সেবার ফের জয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক, সহজ-সরল জীবনযাপন(Election Commission) ও মাটির কাছাকাছি থাকা মনোভাবের জন্য এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন।
রাজনৈতিক তরজায় জমে উঠছে মাঠ
নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই কালীগঞ্জে তৃণমূল, বিজেপি ও বামেদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কোন মুখকে প্রার্থী হিসেবে নামায়, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। লাল দার পরিবারের কেউ কি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, নাকি সম্পূর্ণ নতুন মুখ? এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই (Election Commission) চলছে আলোচনা। তৃণমূল চাইবে, তাদের দীর্ঘদিনের এই আসন ধরে রাখতে। অন্যদিকে বিজেপি চাইবে গত কয়েক বছরে রাজ্যে পাওয়া জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কালীগঞ্জে ঘুড়ির মতো উড়তে। বামেরাও নিজেদের পুরনো জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে(Election Commission) কোমর বেঁধে নামবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই আসনটি ভৌগোলিকভাবে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাজনৈতিকভাবে (Election Commission) প্রতীকী মূল্যও অনেক। নদিয়ার রাজনৈতিক হাওয়া কোন দিকে বইছে, তার একটা স্পষ্ট আভাস মিলবে এই উপনির্বাচনের ফলেই।
প্রশাসনের প্রস্তুতি
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় (Election Commission) পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও আলোচনা চলছে। নির্বাচন যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।