ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru) মুখোমুখি হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad)। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নতুন অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। কিন্তু হায়দরাবাদের ব্যাটিং-বোলিং দাপটের সামনে আটকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারাল বিরাট কোহলিরা।
হায়দরাবাদ ইনিংসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। অভিষেক শর্মা ১৭ বলে ৩৪ রান করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ট্র্যাভিস হেড এবং তিনি মিলে পাওয়ারপ্লে-তেই দলের রান ৫০ পার করেন। তবে দিনের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে ওঠেন ইশান কিষাণ। তিনি ৪৮ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যাতে ভর করে হায়দরাবাদ তোলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। এটি ছিল একটি কঠিন লক্ষ্যমাত্রা।
বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রত্যেক বোলারই উইকেট পেলেও, তাঁরা রানের গতি আটকাতে ব্যর্থ হন। জস হ্যাজলউড চোটের কারণে খেলেননি, ফলে শেষ ওভারের বোলিংয়ে ঘাটতি স্পষ্ট ছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। বিরাট কোহলি ভালো সূচনা করলেও ৪৩ রানে আউট হয়ে যান। এরপর ফিল সল্ট হাল ধরেন এবং ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, তবে একাই বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত আরসিবি ৪২ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি হেরে যায়।
এই ম্যাচে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আগেই প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে এবং টপ টু ফিনিশের জন্য লড়াই করছে। লিগ পর্যায়ে আরও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, হায়দরাবাদের এই জয় মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা নিয়ে এলেও, তারা ইতোমধ্যেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে রয়েছে তারা, ১২ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয় ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচ নিয়ে।
এই ম্যাচে কোহলির ফর্ম আবারও নজর কাড়ে। চলতি সিজনে ১১ ইনিংসে ৭টি অর্ধশতক করেছেন তিনি এবং ধারাবাহিকভাবে দলের ইনিংসকে পথ দেখিয়েছেন। তবে দলের শক্তিশালী মিডল অর্ডার, বিশেষ করে টিম ডেভিড ও রোমারিও শেফার্ড, এই ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি।
স্পিন বিভাগে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও সুয়াশ শর্মার জুটি বেশ কার্যকর হয়েছে এই মৌসুমে, তবে আজকের ম্যাচে তাঁদের প্রভাব ততটা পড়েনি। বোলিংয়ে হ্যাজলউডের অনুপস্থিতিও বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
ম্যাচটি আসলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে তা লখনউতে স্থানান্তর করা হয়। বিরতির পর এটি ছিল আরসিবির প্রথম ম্যাচ এবং হয়তো সেই বিরতিই তাঁদের গতি কমিয়ে দেয়।