শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্ন ভারতের ASRAAM মিসাইল, এর শক্তি সম্পর্কে জানুন

India’s fastest missile: ASRAAM-এর গতি এবং নির্ভুলতা ভারতকে পাকিস্তান এবং চিনের মতো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে বায়ু যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০২১ সাল থেকে, এটি ভারতেই…

jet

India’s fastest missile: ASRAAM-এর গতি এবং নির্ভুলতা ভারতকে পাকিস্তান এবং চিনের মতো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে বায়ু যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০২১ সাল থেকে, এটি ভারতেই তৈরি করা হচ্ছে। একই সাথে, ড্রোন এবং স্টিলথ ফাইটার প্লেনের মতো নতুন হুমকির বিরুদ্ধে ASRAAM অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।

ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। সম্প্রতি বিশ্ব ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি দেখেছে, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুরের অধীনে সীমান্ত পেরিয়ে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে পাকিস্তানের ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। যা একটি দীর্ঘ পাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যা সাবমেরিন থেকে শুরু করে স্থল ও আকাশ, যেকোনো জায়গা থেকে ছোড়া যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের হাতে আরও একটি মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র, ASRAAM। তবে এটি একটি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু এর গুণাবলী শত্রুদের রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয়। আসুন সহজ কথায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি জেনে নিন। 

   

ভারতের ASRAAM ক্ষেপণাস্ত্রের পুরো নাম হল অ্যাডভান্সড শর্ট রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। উন্নত স্বল্প পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, যা AIM-132 নামেও পরিচিত, একটি অত্যাধুনিক আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি তার গতি, নির্ভুলতা এবং তৎপরতার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বর্তমানে ভারত তার বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি ব্যবহার করছে।

Advertisements

উন্নত স্বল্প পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, নামটি নিজেই এর বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করে। এটি একটি উন্নত, স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য তৈরি। আসরাম হলো একটি ক্ষেপণাস্ত্র যা আকাশ যুদ্ধে শত্রু বিমানকে দ্রুত ধ্বংস করার জন্য তৈরি। ডগফাইটের সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কারো পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

যদি আমরা ASRAAM এর গতি সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে এটি বাতাসের সাথে কথা বলে। এর সর্বোচ্চ গতি ম্যাক ৩ (প্রায় ৩৭০০ কিমি/ঘন্টা), অর্থাৎ এটি শব্দের গতির চেয়ে তিনগুণ দ্রুত উড়ে। এর পালা ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি, যে কারণে ডগফাইটের সময় পাইলটকে শত্রুর কাছে যেতে হয় না। ডগফাইট হল আকাশে যুদ্ধবিমানের মধ্যে সংঘর্ষ।