ইসলামাবাদ: পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত৷ এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার ফুঁসতে শুরু করেছে পাকিস্তান৷ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায় থেকে উঠে এল এক উসকানিমূলক হুমকি, যার সুর প্রায় হুবহু মিলে যায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের বক্তব্যের সঙ্গে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল আলোড়ন।
জল বন্ধ করা হলে তোমাদের দম বন্ধ করব
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, “যদি আমাদের জল বন্ধ করা হয়, আমরা তোমাদের দম বন্ধ করে দেব।” এই বক্তব্য ঠিক যে ভাষায় করা হয়েছে, সেটি নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে। কারণ, এর আগে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ একাধিকবার বলেছিলেন, “যদি ভারত আমাদের জল বন্ধ করে, আমরা তাদের দম বন্ধ করে দেব, এরপর এই নদীতে রক্ত বইবে।”
হাফিজ সইদের বক্তব্যের সঙ্গে আশ্চর্যজনক সাদৃশ্য Pak Army official threatens India in Hafiz Saeeds words
দুই বক্তব্যের মধ্যে এই আশ্চর্যজনক সাদৃশ্য তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অভিযোগ তুলেছেন—পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে আদর্শগত ফারাক কোথায়? আফগান রাজনীতিক এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য মারিয়াম সোলাইমানখিল টুইট করে বলেন, “লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতার বক্তব্য হুবহু নকল করে বক্তব্য রাখছেন পাক সেনা মুখপাত্র। এতে পরিষ্কার, পাকিস্তানের সামরিক ও সন্ত্রাসবাদী কাঠামো একই স্ক্রিপ্টে চলছে।”
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই মন্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে—এই ধরনের উসকানি ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
১৯৬০ সালে সাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নদীর জল ভাগাভাগি করার একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। তবে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে এই চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এমন ‘সন্ত্রাসপ্রেমী’ ভাষ্য শুধু বিপজ্জনক নয়, এটি এক ধরনের রাষ্ট্রীয় মদতে উগ্রপন্থার ইঙ্গিত বহন করে।
World: Pakistan’s Army spokesperson echoes Hafiz Saeed’s rhetoric, threatening India with “choking” if the Indus Water Treaty is halted. This provocative statement, after India’s suspension of the treaty post-Pahalgam attack, sparks diplomatic concern and accusations of military-terrorist nexus.