মুখ্যমন্ত্রী (cm) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাজ্যের প্রধান আবাসন প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ এর আওতায় দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ বিতরণের ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রামীণ বাংলার দরিদ্র ও যোগ্য পরিবারগুলির জন্য আবাসন নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি পরিবারকে মোট ১.২ লক্ষ টাকা দুটি সমান কিস্তিতে দেওয়া হয়।
কি কি ঘোষণা হয়েছে (cm)
দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৭,২০০ কোটি টাকা এখন সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি হিসেবে একই পরিমাণ অর্থ, অর্থাৎ ৭,২০০ কোটি টাকা, বিতরণ করা হয়েছিল। এর ফলে রাজ্য সরকার মোট ১৪,৪০০ কোটি টাকা সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করেছে, যা ১২ লক্ষ পরিবারের উপকারে এসেছে।
রাজ্যের তহবিল থেকে পরিচালিত এই উদ্যোগের জন্য গর্ব প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (cm)বলেন, “আমাদের সরকার এই প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে মোট ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। আমি সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” মুখ্যমন্ত্রী (cm)আরও ঘোষণা করেছেন যে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
এই উপভোক্তারা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি এবং ২০২৬ সালের মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তি পাবেন। তিনি বলেন, “আমরা আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করব। তারা এই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি এবং ২০২৬ সালের মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তি পাবেন। আমি তাদের জন্যও আগাম শুভেচ্ছা জানাই।” এই বক্তব্য তিনি এক্স-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ প্রকল্পের গুরুত্ব
‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (cm)একটি মুখ্য উদ্যোগ, যার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করছে যে প্রতিটি যোগ্য পরিবার একটি নিরাপদ এবং টেকসই আবাসন পায়।
প্রতি পরিবারকে ১.২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা দুটি কিস্তিতে প্রদান করা হয়, যা তাদের ঘর নির্মাণে সরাসরি সহায়তা করে। প্রথম কিস্তি নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য এবং দ্বিতীয় কিস্তি কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
রাজ্যের নিজস্ব তহবিলের ভূমিকা
এই প্রকল্পের (cm)সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এটি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো আর্থিক সহায়তা ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১২ লক্ষ পরিবারের জন্য ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি রাজ্যের আর্থিক সক্ষমতা এবং জনকল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পকে গ্রামীণ উন্নয়নের একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা গ্রামের দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।
আরও ১৬ লক্ষ পরিবারের অন্তর্ভুক্তি
মুখ্যমন্ত্রীর (cm)ঘোষণা অনুযায়ী, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এই পরিবারগুলি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি এবং ২০২৬ সালের মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তি পাবেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য সরকার আরও বেশি সংখ্যক গ্রামীণ পরিবারের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে চায়। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এশিয়াজুড়ে ফের কোভিডের ঢেউ, ভারত এখন কোন জোনে?
প্রকল্পের সুবিধা ও প্রভাব
‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ প্রকল্পটি গ্রামীণ বাংলার পরিবারগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলি পাকা ঘর নির্মাণ করতে পারছে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। পাকা ঘরগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে এবং পরিবারগুলির জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করে। এছাড়াও, এই প্রকল্প স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করছে, কারণ ঘর নির্মাণের জন্যশ্রমিক এবং নির্মাণ সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে।
মুখ্যমন্ত্রী (cm)এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের সাফল্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আমরা গ্রামীণ বাংলার প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা রাজ্য সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী (cm)জানিয়েছেন, প্রকল্পের বাস্তবায়ন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এছাড়াও, অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে।
‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ১২ লক্ষ পরিবারের জন্য ১৪,৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং আরও ১৬ লক্ষ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (cm)নেতৃত্বে এই প্রকল্প গ্রামীণ বাংলার দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য একটি নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। এটি শুধুমাত্র আবাসন প্রদানই নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।